ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অ্যামফিটামিন পাচারের রুট ছিল বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
অ্যামফিটামিন পাচারের রুট ছিল বাংলাদেশ

ঢাকা: ভারতীয় চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম অ্যামফিটামিন পাউডার পাচারের জন্য সীমান্ত এলাকা বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করেছিলেন গ্রেফতার আবুল কালাম আজাদ বান্টি।

আমদানির পর বান্টি এসব অ্যামফিটামিন জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী (৩৩) ও নজরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন।

বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে এসব অ্যামফিটামিন মালয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া পাচারের জন্য তারা কিনেছিলেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হাতে অ্যামফিটামিন আমদানি ও বিক্রি চক্রের মূলহোতা আবুল কালাম আজাদ বান্টি গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জাব্বার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর রপ্তানি কার্গো ভিলেজ থেকে ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম অ্যামফিটামিন পাউডার উদ্ধারের ঘটনায় বিভিন্ন সময় ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকার মাহমুদা ম্যানশনের কালাম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আবুল কালাম আজাদ বান্টিকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে এ চক্রের আসামি মো. মাজেদ, জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী (৩৩), মো. নজরুল ইসলাম (৪৭), বাবলু মজুমদার (৫৪) ও বাপ্পী (২২)। এরপর মিটফোর্ড এলাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী বান্টিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এ চক্রের মূলহোতা।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারের পর বান্টি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী এবং নজরুল ইসলামকে অ্যামফিটামিন পাউডার সরবরাহ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমপক্ষ হিসেবে দীন ও সাইফুল নামে দু’জন ব্যক্তি কাজ করে আসছিলেন। বান্টি এসব মাদকদ্রব্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী হাবিব মাস্টারের মাধ্যমে চোরাইপথে অবৈধভাবে সংগ্রহ করতেন।  

তিনি আরও জানিয়েছেন যে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী হাবিব মাস্টারের সহযোগী রাজ খান মাদকদ্রব্য সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া এবং ট্রিমল্যান্ড, করতোয়াসহ বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতেন।

আসামি দীন ইসলাম ও সাইফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গ্রেফতার জুনায়েদ ও নজরুল জানান, তারা ভারত থেকে অ্যামফিটামিন সংগ্রহ করে তৈরি পোশাকের কার্টনের মধ্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কার্বণের লেয়ার দিয়ে কাভিটি তৈরি করে মাদকদ্রব্য মালয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া পাচারের চেষ্টা করছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।