রাজশাহী: সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন ও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (আরএমপি) মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে মহানগর পূজা কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আরএমপির সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পূজা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা, ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য নির্দেশ দেন, যাতে দুর্গাপূজার সময় দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ দর্শন করতে পারেন। এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপ কমিটিকে সব ধর্মের সমন্বয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে আরএমপির পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ’
তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ ও নির্গমণ পথ রাখা এবং পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া পূজামণ্ডপের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর রাখার জন্যও পূজা কমিটিকে পরামর্শ দেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স পিওএম কনফারেন্স রুমে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আরএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সালমা বেগম, উপ-পুলিশ কশিনার (সদর) মো. রশীদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মো. সাজিদ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) বিভূতি ভূষণ বানার্জী, উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ মখদুম) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) মো. আরেফিন জুয়েল, উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) আবু আহাম্মদ আল মামুন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বাণ চাকমা। এছাড়া আরএমপির ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অনিল কুমার, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন, হিন্দু, রাজশাহী বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. সুজিত সরকার, পূজা উদযাপন পরিষদের রাজশাহী মহানগর সভাপতি অলোক কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক শরৎচন্দ্র সরকারসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এবার রাজশাহী মহানগর এলাকায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৮৭টি। সভায় প্রতিমা প্রস্তুত এবং পূজা চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এসএস/এফএম