ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিক্সন চৌধুরীর বিচার দাবি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
নিক্সন চৌধুরীর বিচার দাবি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ...

ঢাকা: একজন জনপ্রতিনিধির মানহানিকর ও অশোভন উক্তি কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং হতাশ করে বলে জানিয়ে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এই সংগঠনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং মহাসচিব ও জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বুধবার (১৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান।

এতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন থেকে ৯ অক্টোবর ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করায় স্থানীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (ফরিদপুর-৪) ওই দিন সকালে জেলা প্রশাসককে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অধিক সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মহাসড়ক অবরোধসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

‘নির্বাচন শেষে চরভদ্রাসন উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী জনসভায় রাত সাড়ে ৮টায় নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান পদে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী প্রার্থী, স্থানীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও তার অনুসারীরা নির্বাচনে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার বিষয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের প্রতি চরম বিষোদগার করেন এবং দায়িত্ব পালনরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অত্যন্ত মানহানিকরভাবে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন ও তার অনুসারীদের দিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন- যা একজন সংসদ সদস্য অথবা একজন সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন ভদ্রলোকের পক্ষে অকল্পনীয়। ’

এতে আরও বলা হয়, তিনি নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনরত ভাঙা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘণকারী এক ব্যক্তিকে আটক রাখায় চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ফোন করে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন নারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও একজন সংসদ সদস্য যে ধরনের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন- তা বাঙালি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি চরম অবমাননাকর। উক্ত কর্মকর্তা ফোনালাপের সময় অত্যন্ত ধৈৰ্য্য ও স্থির থেকে তার পেশাগত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের ভাবমূর্তি দৃঢ় করেছেন।

‘কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়ন, আইন-শৃঙ্খলা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন, পরীক্ষা পরিচালনা, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ ইত্যাদি কাজ করতে হয়। এরূপ মানহানিকর ও অশোভন উক্তি তাদের কর্মস্পৃহায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং হতাশ করে। ’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ হেন মানহানিকর ও অশোভন উক্তির তীব্র নিন্দা এবং যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।