ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রায়হানের মরদেহ তোলা হবে বৃহস্পতিবার

  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
রায়হানের মরদেহ তোলা হবে বৃহস্পতিবার

সিলেট: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের (৩০) মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় মরদেহটি কবর থেকে তোলার কথা রয়েছে।

 

বুধবার (১৪ অক্টোবর) আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। মামলার তদন্তে জড়িত একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
 
এদিকে, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও কাস্টঘর এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
 
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিহত রায়হানের বাড়ি আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকায় যায় পিবিআই তদন্ত দল।
 
এর আগে দুপুরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ব্রিফিংয়ে পিবিআইর এসপি খালেদুজ্জামান বলেন, আমরা তথ্য ও আলামত সংগ্রহ এবং কয়েকজনের বক্তব্য নিয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কাস্টঘরে নিহত রায়হানকে গ্রেফতারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী সুরাই লালের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত দল। সেইসঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গত রোববার সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন মারা যান। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। নিহতের পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের দাবি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
 
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।
 
সাময়িক বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। আর প্রত্যাহার তিন পুলিশ সদস্য হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। তবে ঘটনার দিন সকাল থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এনইউ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।