ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এমপি জিল্লুল ও তার ছেলের ‘দুঃশাসন থেকে মুক্তি’ চায় রাজবাড়ীবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এমপি জিল্লুল ও তার ছেলের ‘দুঃশাসন থেকে মুক্তি’ চায় রাজবাড়ীবাসী সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের ‘দুঃশাসন থেকে মুক্তি’ চায় রাজবাড়ীবাসী।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীতে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলার নির্যাতিত মানুষজন।

নির্যাতিতদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মোস্তফা মাহমুদ আবু হেনা মুন্সি। ‘১২ বছর ধরে এমপি জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের প্রতিহিংসার কারণে আমরা চরম খুন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছি’ উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। একযুগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩৯ জন নেতাকর্মী খুন হয়েছেন জিল্লুল হাকিমের ক্যাডার বাহিনীর হাতে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন শতাধিক নেতাকর্মী। সংখ্যালঘু পরিবারের অনেকের জমি দখল নিয়েছে। প্রাণভয়ে দেশছাড়া হয়েছেন দেড় শতাধিক সংখ্যালঘু।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১৫ আগস্ট সবশেষ খুন হয়েছেন কালুখালী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম। এর আগে ১৩ মার্চ গুলি করে করে হত্যা করা হয়েছে স্কুলশিক্ষক আসাদুল খানকে। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২০১৯ সালের ১৭ জুন হত্যা করা হয় ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে। হত্যা করা হয়েছে কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাদের হোসেন মুন্সি, মৌরাট ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত মেম্বার, সাওরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ মিয়াসহ অনেককেই।

এসময় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা হত্যার বিচারের দাবি জানান।  
সংবাদ সম্মেলনে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত হত্যা, গুম ও নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এমএমআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।