ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢামেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে রোগীর স্বজন, স্বর্ণ খোয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
ঢামেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে রোগীর স্বজন, স্বর্ণ খোয়া

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের ভেতরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে এক রোগীর স্বজন। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে অচেতন ওই নারী হলেন মরিয়ম বেগম (৬৫)।

স্বজনরা দাবি করেন অচেতন করে মরিয়ম বেগমের কানের দুল ও গলার চেইন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নিয়ে গেছে।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডের ভিতরে বারান্দায় এই ঘটনাটি ঘটে।

অচেতন মরিয়মের মেয়ে সাথী সন্তানসম্ভবার কারণে গত তিনদিন আগে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা থেকে তাকে দেখভালের জন্য তার মা মরিয়ম বেগম শুক্রবার হাসপাতলে আছে।

সাথীর বোনজামাই হারুন-অর-রশিদ আরো জানান, বিকেলের দিকে ওই ওয়ার্ডে বারান্দায় পাটি বিছিয়ে বসে ছিল তার শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগম। পাশে অন্যান্য রোগীর স্বজনরা ছিল।

তিনি আরো জানান, দুই নারী এসে আমার শাশুড়ির সাথে অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সম্পর্ক তৈরি করে। এক পর্যায়ে শ্বাশুড়িকে বলে পানখান। পরে আমার শাশুড়িকে চুলগুলো আছড়িয়ে দেয়। অল্প কিছুক্ষণ পরেই আমার শ্বাশুড়ি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন নারী দুইজন সবার অগোচরে আমার শ্বাশুড়ির কান থেকে স্বর্ণের দুইটি দুল ও গলায় থাকা চেন নিয়ে যায়।

তিনি জানান, ঘটনার সময় আমার শ্বাশুড়ি পাশে আমি ছিলাম না। আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে এসব ঘটনা শুনেছি। ঘটনার পরপরি অচেতন মরিয়ম বেগমকে জরুরি বিভাগে ডাক্তারকে দেখিয়ে তাদের পরামর্শে পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়েছে। এরপর সেই ওই ওয়ার্ডের বারান্দায় এখনো অচেতন অবস্থায় আছেন সে।

একই ওয়ার্ডের আরেক রোগীর বাবা মনির হোসেন জানান, দেখলাম দুজন নারী এসে ওই নারীর সাথে কথা বলছে এবং তার মাথার চুল আঁচড়ে দিয়েছে তারপরে বলছে পানখান। এর কিছুক্ষণ পরে দেখি ওই মরিয়ম বেগম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই দুই নারীকে আর দেখতে পায়নি।

ওয়ার্ডে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, এক দেড় মাস আগেও একই জায়গায় দুই নারীকে অচেতন করে কানের দুল টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। আজকে আবার একই ঘটনা ঘটল।

ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যকে প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. মিজান জানান বিষয়টি আমরা দেখছি।

পুলিশ ক্যাম্পের (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন ২১২ ওয়ার্ড হচ্ছে হাসপাতালে ভেতরে। ওখানে আনসার সদস্যরা রাতদিন ২৩ ঘন্টা ডিউটি করে। বিষয়টি আমাকে এখনো কেউ জানায়নি। তবে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।

ইন্সপেক্টর বাচ্চু জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। তাদের স্বজনকে বলেছি শাহবাগ থানায় একটা জিডি করতে। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা দেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের শনাক্ত করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
এজেডএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।