ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করা এবং বিসর্জনে শোভাযাত্রা না করার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করা এবং বিসর্জনে শোভাযাত্রা না করার আহ্বান মতবিনিময় সভা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করা এবং প্রতিমা বিসর্জনের দিন কোনো প্রকার শোভাযাত্রা না করার আহ্বান জানিয়েছে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানায় ট্রাস্ট। এ সময় ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কথা বলেন, ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য শ্রী মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত পাল।

সভায় জানানো হয়, দুর্গাপূজার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিন্দুদের কিন্তু মূলবাণী সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে নিবেদিত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা। সব মানুষের সুখ-শান্তি কামনায় এবং সর্বজীবের মঙ্গলার্থে হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে প্রতিবছর উদযাপন করে থাকে শারদীয় দুর্গোৎসব।

তারা জানায়, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এই আনন্দধারায় এবার কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। তবে আশাকরি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বাধা অতিক্রম করতে আমরা সক্ষম হবো। মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সরকার কিছু স্বাস্থ্যবিধি পালন করার নির্দেশনা দিয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। ’

এ সময় ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপনে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- দর্শণার্থীদের জন্য মাস্ক পরে এবং হাত সেনিটাইজ করে পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করা, অতিরিক্ত তোরণ ও আলোকসজ্জা না করা, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলায় মণ্ডপে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা রাখা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা বা কোনো প্রকার জনসমাবেশ না করা, পূজা উপলক্ষে কোনো প্রকার আতসবাজি বা পটকা না ফোটানো, প্রতিমা বিসর্জনের দিন কোনো প্রকার শোভাযাত্রা না করা, প্রতিটি মণ্ডপ পরিচালনাকারীদের সার্বক্ষণিক নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কোনো প্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়া।

এছাড়া অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় দ্রুত থানা অথবা ‘৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ করা, প্রধানমন্ত্রী আগামী শীতে করোনার দ্বিতীয় ধাপ আসার আশঙ্কায় দেশবাসীকে বার বার যে সতর্ক করছেন তার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে সচেতন থাকা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, কোভিড-১৯ উপলক্ষে মন্ত্রপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত গাইডলাইন অনুসরণ করা এবং প্রয়োজনে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়ের ৯৬৭৭৪৪৯ বা ৯৬৬৮০৪৫ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার সম্মানিত ট্রাস্টির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সভায় পূজা অনুষ্ঠানাদি যথাযথভাবে শেষ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক, বিদুৎ বিভাগ, সব সেবা দানকারী সংস্থা, প্রশাসনসহ সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের পরিপূর্ণ সহযোগিতা কামনা করা হয়। একইসঙ্গে সবাইকে দুর্গাপূজার আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি শ্রী তপন সেন, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, অ্যাডভোকেট অমিত কুমার সরকার, রেখা রাণী গুণ, রতন দত্ত, উত্তম শর্মা, ববিতা সরকার, অংকুরজিত সাহা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।