ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হলো শতবর্ষী আমিরুনেচ্ছাকে 

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
স্বজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হলো শতবর্ষী আমিরুনেচ্ছাকে  আমিরুন্নেছা। ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা (ঈশ্বরদী): চিকিৎসা করানোর কথা বলে শতবর্ষী আমিরুনেচ্ছার সরলতার সুযোগে স্বর্ণের চেইন-নগদ টাকা নিয়ে তাকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় অজ্ঞাতপরিচয় এক প্রতারক নারী।  

অবশেষে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সহায়তায় তাকে নিজ বাড়িতে স্বজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

  

শনিবার (২৪ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদীর রেলওয়ে ওভারব্রিজ মোড়ের পশ্চিমটেংরীর রানার চায়ের দোকানের সামনে ভদ্রমহিলাকে পাওয়া যায়।  

পরে বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবিরের সহায়তায় বাংলানিউজের ঈশ্বরদী উপজেলা ও কুষ্টিয়া করেসপন্ডেন্ট কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের খলিশাকুন্ডু বাসস্ট্যান্ডে তার ভাসুরের ছেলে, স্হানীয় চায়ের দোকানি মিনারুলের কাছে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন। তবে প্রতারক ওই নারীর সঠিক নাম ও পরিচয় দিতে পারেনি কেউ।  

আমিরুনেচ্ছা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডু গ্রামের রিকাত আলী মণ্ডলের স্ত্রী। তার চার ছেলে চার মেয়েসহ ছেলেদের বৌ নাতি-নাতনি রয়েছেন। এক ছেলে ফরিদপুরে থাকেন, এক ছেলে মালয়েশিয়া ও দুই ছেলে মেহেরপুরে থাকেন এবং মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি রয়েছেন।  

আমিরুনেচ্ছা বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটির সঙ্গে দুই বছর ধরে পরিচয়। মাঝে মাঝে আমার বাড়ি আসা যাওয়া করতো। ধীরে ধীরে আমাদের খুবই সুসম্পর্ক হয়ে ধর্ম বোন পাতানো হয়। পায়ের বাতের ব্যথার ভাল চিকিৎসা করাবো বলে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার দাইড়পুর ছেলের বাড়ি থেকে দুজনে রওনা হই। ঈশ্বরদী এসে মেয়েটি আমাকে বলে, রাতে চুরি-ছিনতাই হতে পারে, চিকিৎসার খরচ, গলায় এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইনটি আমার কাছে রাখি। আমি তখন সরল মনে স্বর্ণের চেইন, কাছে থাকা নগদ তিন হাজার টাকা তার হাতে দেই। কিছুসময় পর ঈশ্বরদী বাজারে আমাকে বসিয়ে রেখে চলে যায় মেয়েটি। রাতে শহরের একটি বাড়িতে বিপদের কথা বলে আশ্রয় নিয়ে সকালে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হই।  

পাবনার অতিরিক্ত সিনিয়র পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবির বাংলানিউজকে জানান, বৃদ্ধা মা-বাবা যাদের রয়েছেন তাদের সন্তানদের একটু বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। জীবনের শেষ কয়েকটি দিন সন্তানের উচিত তাদের প্রতি একটু নজর দেওয়া। সকলে সচেতন হলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।