ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাইরে কেরাম বোর্ড আর ভেতরে চলতো জুয়ার আসর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
বাইরে কেরাম বোর্ড আর ভেতরে চলতো জুয়ার আসর বক্তব্য রাখছেন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক

ঢাকা: এক রাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলতো। তবে বাইরে কেরাম বোর্ড প্রদর্শন করে ভেতরে হরদম চলতো লাখ টাকার জুয়া খেলা।

এভাবেই গত দেড় বছর ধরে ঢাকার আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় চলছিল জুয়ার আসর। পাশাপাশি মাদক সেবনও করতেন খেলতে আসা জুয়াড়িরা। অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ২১ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।  

রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়া অবস্থিত র‌্যাব-৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।

এর আগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ ২১ জনকে আটক করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

আটকরা হলেন- মো. বিল্লাল (৩৮), মো. জুয়েল (২৮), মইদুল ইসলাম (৩২), সবুজ মিয়া (২৮), মো. শরিফ (২৮), মো. লিটন (৪৫), রবিউল মোল্ল্যা (২৪), আবু তালেব (২০), দিয়াজুল ইসলাম (২০), মো. শিপন (২০), আব্দুল আলিম (৩৫), আজাদুল ইসলাম (৫০), সোহেল মোল্লা (৩২), আসাদুল ইসলাম (৩০), মো. এখলাছ (৩৫), মঈন মিয়া (২৮), মাসুদ রানা (২০), হাবিবুর রহমান (৪৭), রুবেল মিয়া (৩৩), ফজলে রাব্বি (২২) ও রনি ভূঁইয়া (২৫)। অভিযানে সেখান থেকে ১০০ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করে র‌্যাব।

মোজাম্মেল হক বলেন, আশুলিয়ার জুয়ার আসরে প্রতিরাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলতো। তবে এখানে খেলতে আসা বেশিরভাগই নিম্নআয়ের মানুষ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে জুয়া খেলা হয়। বাইরে কেরাম বোর্ড প্রদর্শন করে ভেতরে চলতো জুয়া খেলা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় হাতে-নাতে ২১ জনকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, এ জুয়ার আসরে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খেলতেন। প্রতিদিন রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ জুয়ার আসরটি জমে উঠতো। জুয়ার আসর কারবার পরিচালনায় প্লাবন হোসাইন ও ওমর ফারুক নামে দুই ব্যক্তির নাম আমরা পেয়েছি। তারা দু’জনই মালিক। অভিযানে সেখানে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আটকদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জুয়া আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এসজেএ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।