ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনা পাড়ে নৌকা-জাল প্রস্তুতে ব্যস্ত জেলেরা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
মেঘনা পাড়ে নৌকা-জাল প্রস্তুতে ব্যস্ত জেলেরা নৌকা মেরামতে ব্যস্ত জেলেরা। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: আর মাত্র ৪ দিন পরেই নদীতে ইলিশ শিকারে যাবেন জেলেরা। আর তাই বসে থাকার সময় নেই তাদের।

মাছ শিকারে যাওয়ার আগেই নৌকা ও জাল প্রস্তুত করছেন জেলেরা।

কেউ নৌকা মেরামত করছেন, কেউ নৌকা ও ট্রলারে রং দিচ্ছেন কেউবা ব্যস্ত জাল তৈরি আর ট্রলারের ইঞ্জিন মেরামত করে সময় পার করছেন। কেউ বা আবার নতুন করে নৌকা তৈরি করছেন।
 
সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে এমন প্রস্তুতি জেলেদের। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ঠিক ততই যেন ব্যস্ততা বাড়ছে তাদের।

ভোলা সদরের ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের জেলেদের এমন ব্যস্ততা চোখে পড়ে।
 
নদীর কুল ঘেঁষে বাঁধের ওপর রাখা হয়েছে সারি সারি নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। সেখানেই ওই নৌকা বা ট্রলার মেরামতের কাজ করছেন জেলেরা। বেকার জেলেদের সময় কাটছে নৌকা বা ট্রলার প্রস্তুতি নিয়ে।  

শুধু ইলিশাঘাট নয়, নৌকা প্রস্তুতের এমন চিত্র তুলাতলী, ভোলর খাল, ইলিশা বিশ্বরোডসহ বেশিরভাগ এলাকায় দেখা যায়।  
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ৪ নভেম্বর থেকে ফের মাছ ধরা শুরু হবে নদীতে। সেই দিনটিকে সামনে রেখে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। মেঘনা পাড়ে ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করছেন তারা।  

...জেলে রহিম ও রুবেল জানান, এখন নদীতে মাছ ধরা বন্ধ, নৌকা-ট্রলার নিয়ে নদীতে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এ ক’দিন ধার দেনা করে দিন পার করেছেন। সামনে আসছে মাছ ধরার সময়, তাই নৌকা মেরামত করছেন। আগে থেকে নৌকা তৈরি করতে না পারলে তখন সময় পাওয়া যাবে না।  

মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য নৌকা মেরামত ও রং দেওয়ার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন জেলে মনিন ও মিজান।  

তারা বলেন, এ বছর ভরা মৌসুমে তেমন মাছ ধরা পড়েনি। আশাকরি ইলিশ নিষেধাজ্ঞার পর ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। তখন মাছ ধরেই ঋণ পরিশোধ করতে পারবো। ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।  

ভোলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ আলী বলেন, জেলেদের দিন কষ্টে কাটছে, তবুও তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারে যায়নি। এখন জেলেদের কষ্টের দিন শেষ হতে যাচ্ছে, তারা এখন মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জাল, নৌকা, ইঞ্জিন মেরামত করার কাজে ব্যস্ত তারা। ইলিশ শিকার করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন সে ব্যাপারেও আশাবাদী তারা।

ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, এবার ইলিশ রক্ষা অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে। এতে আমাদের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন।  

তিনি বলেন, ২২ দিনের ইলিশ নিষেধাজ্ঞার সময় জেলে পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দকৃত জাল বিতরণ শেষ হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ