ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ইতিবাচক প্রতিবেদন হলে গবেষকরা নিশ্চুপ থাকেন কেন?’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
‘ইতিবাচক প্রতিবেদন হলে গবেষকরা নিশ্চুপ থাকেন কেন?’

ঢাকা: আমাদের দেশের গবেষকরা দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের জন্য গবেষণা করেন কিনা প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো ইতিবাচক প্রতিবেদন হলে তারা নিশ্চুপ থাকেন কেন? এটি অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন, সেই প্রশ্ন আমারও।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে রোববার (০১ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ প্রশ্ন করেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল সংস্থার (আইএমএফ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছরের শেষ দিকে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে কাজ করেন, অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন; তাদের মুখে কোনো বক্তব্য আমরা দেখতে পাইনি। আইএমএফ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক যদি কোনো নেগেটিভ প্রতিবেদন দিতো তাহলে দেখতে পেতেন তারা এতদিন টেলিভিশনে বক্তব্য দিয়ে ঝালাপালা করে দিতেন।

তিনি বলেন, এ রকম একটি পজিটিভ প্রতিবেদন যেটি নিয়ে পুরো উপমহাদেশজুড়ে তোলপাড়, এতে তারা নিশ্চুপ। দেশের ভালো কিছু হলে তারা খুশি হন কিনা, এই প্রশ্নই দেখা দেয়। যেহেতু দেশের অগ্রগতিতে তারা নিশ্চুপ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন, একই সঙ্গে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আউটলুক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পৃথিবীর হাতেগোনা যে কয়েকটি দেশের ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে, এরমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছরের শেষান্তে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর পুরো ভারতজুড়ে তোলপাড় পড়ে গেছে। ভারতের সমস্ত মিডিয়াতে এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন সভা-সমিতিতে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বুদ্ধিজীবীরা আলোচনা করছেন। শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করছেন।

তিনি বলেন, শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও একই ঘটনা ঘটছে। সেখানেও তোলপাড় পড়ে গেছে। পাকিস্তানের কোনো কোনো টেলিভিশনে আবার একটু স্তূতি গাওয়ার অর্থাৎ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বলা হচ্ছে আমাদের ভাইরা এগিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তানে তোলপাড় পড়ে গেছে। কিন্তু যখন দেশের কোনো নেগেটিভ প্রতিবেদন কোনো জায়গায় ছিটেফোঁটা বিশ্বব্যাংক আইএমএফ কেন, কোন একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায়ও যদি বের হয়, সেটি নিয়ে তারা খুব সরব হন। সুতরাং তাদের এই সমস্ত গবেষণা আসলে দেশকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য কিনা আজকে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেক বিদগ্ধজন সেই প্রশ্ন করেছেন, আমি করছি না। অনেকেই প্রশ্ন করছেন। তারা আজকে যেহেতু নিশ্চুপ এতে অনেকেই প্রশ্ন করছেন তারা কি আসলে দেশেকে খারাপভাবে উপস্থাপন করার জন্য গবেষণা করেন।

ফ্রান্সে রাসুল মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা নিয়ে দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত মহানবীর অবমাননাকর কোনো কিছু আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এজন্য যে প্রতিবাদ হচ্ছে, অতীতেও যখন এ ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে, তখন এই ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে। কোনো ধর্মের অনুভূতিতেই আঘাত দেওয়া সমীচীন নয়।

লালমনিরহাটে একজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, সরকার সেখানে কী পদক্ষেপ নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাটে একজনকে পুড়িয়ে মারা হলো সে ব্যাপারে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পৈশাচিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।