ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলেই খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন মাসুমা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলেই খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন মাসুমা!

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় ১০ বছরের এক গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে মাসুমা বিনতে মইন নামে এক গৃহকর্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) মো. শফিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, সুমাইয়া নামে ১০ বছরের ওই শিশু গৃহকর্মীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তার মা মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে থাকেন ও বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। গত সাত মাস ধরে সুমাইয়া মোহাম্মদপুরের শেরশাশুড়ি রোডের ২০/১১ নম্বর বাসায় গৃহকর্ত্রী মাসুমা বিনতে মইনের বাসায় কাজ করতো। কাজে যোগ দেওয়ার প্রথম দুই মাস ভালোই ছিল তার। এরপর থেকেই শুরু হয় তার ওপর শারীরিক নির্যাতন।

তিনি জানান, কাজের বিভিন্ন ভুল ধরে সুমাইয়াকে মারধর করতেন গৃহকর্ত্রী মাসুমা। ঘুম থেকে সুমাইয়ার উঠতে একটু দেরি হলেই গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন তিনি। এছাড়া কাজে একটু ভুল হলে মারধর করতেন। গলা চেপে ধরতেন গলায় তার নখের চিহ্নও পাওয়া গেছে এবং শরীরে গরম পানি ছিটিয়ে দিতেন। নির্যাতনের বিষয়টি জানাজানির ভয়ে গৃহকর্ত্রী সুমাইয়াকে পরিবারের কারোর সঙ্গেও দেখা করতে দিতেন না। এমন নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে সুমাইয়া শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ওই বাসা থেকে পালিয়ে বের হয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে তার গ্রামের ঠিকানা অনুযায়ী একটি বাসে উঠিয়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, সুমাইয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনরা তার নির্মম নির্যাতনের কথা শুনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখতে পেয়ে তাকে ঢাকায় তার মায়ের কাছে নিয়ে আসেন। পরে শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে সুমাইয়ার মা মোহাম্মদপুর থানায় গৃহকর্ত্রী মাসুমাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর চিকিৎসার জন্য দুপুরে সুমাইয়াকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।