ফেনী: ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠছে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র।
এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকরা। এছাড়া পুকুর-দিঘির মাছ, মাঠের ফসল, ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাতে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বতর্মানে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২২৫ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও নদীগুলোর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো পানি প্রবেশ করছে। ফলে ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
ইতোমধ্যে বন্যায় ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ অনেক গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। জেলা কৃষি ও মৎস্য বিভাগ জানায়, বন্যায় ১০৫ হেক্টর রোপা আমন (পাকা ধান), ছয় হেক্টর সবজি, শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
জেলা মৎস্য অফিসার আমিনুল হক জানান, ফুলগাজীতে বন্যায় একটি পুকুরের প্রায় দুই লাখ মাছের পোনা ভেসে গেছে। এছাড়া আরও বেশকিছু পুকুরের মাছ প্লাবনের পানিতে ভেসে গেছে। পুরোপুরি ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরুপণ করা যায়নি।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি ও পাহাড়ি প্লাবনে ফুলগাজীতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মানুষের ঘর-বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/