ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মশা নিধনে ডিএনসিসির দফায় দফায় অভিযান, জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
মশা নিধনে ডিএনসিসির দফায় দফায় অভিযান, জরিমানা মশা নিধনে ডিএনসিসির অভিযান

ঢাকা: মশা নিধনে চতুর্থ দফার চিরুনি অভিযানের প্রথম দিনে ৯৪টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পেয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে সংস্থাটি।

 

সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নিজেদের ৫৩টি ওয়ার্ডে একযোগে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। অভিযান শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযানে মোট ১৩ হাজার ৮২৫টি বাড়ি ও অন্য স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এগুলোর মধ্যে ৯৪টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া আরও আট হাজার ৭১৩টি স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেগুলোতে কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া হয়।

আর লার্ভা পাওয়ার ঘটনায় পৃথক ১৬টি মামলায় দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর আগে পরিচালিত চিরুনি অভিযানের মতো এ চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ১০ জন মশা নিধনকর্মী এ অভিযানে দায়িত্ব পালন করছেন। ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে এ অভিযানে।

আগের চিরুনি অভিযানের মতো এ চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোনো কোনো এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে। ডাটাবেজ অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের মনিটর করা হবে। চলমান চিরুনি অভিযানে বিগত চিরুনি অভিযান থেকে পাওয়া তথ্য (যা অ্যাপসে সংরক্ষিত আছে) অনুযায়ী চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
 
চলতি বছরে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চার লাখ পাঁচ হাজার ৫৫০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে দুই হাজার ৬৮৬টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এসএইচএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।