ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘আইটি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
‘আইটি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত’ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী

ঢাকা: বাংলাদেশের আইটি, স্বাস্থ্যসেবা খাতসহ অন্য খাতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।  

তিনি বলেন, আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার বহুবিধ সুযোগ রয়েছে।

সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (২ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য-বিনিয়োগ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।  

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করে দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ ভারতের জন্যও সম্মানের। বাংলাদেশ ও ভারত ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতিসহ অনেক বিষয়ে সম্পর্কিত।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে। ভবিষ্যতে আইটি সেক্টর, স্বাস্থ্যসেবা খাতসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এসময় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তার দায়িত্ব পালনকালে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারতের নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি নাম মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানো এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। নবনিযুক্ত হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনকালে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ভার্চ্যুয়াল সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
জিসিজি/এমআইএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।