ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিস্ফোরক পণ্য ব্যবস্থাপনায় অধিক সচেতনতার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২০
বিস্ফোরক পণ্য ব্যবস্থাপনায় অধিক সচেতনতার নির্দেশ

ঢাকা: দেশের বন্দরগুলোতে দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণে অধিক সচেতন হতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

বুধবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে দেশের সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক দ্রব্যাদি নিরাপদ পরিবহন, হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বন্দরসগুলোতে দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক দ্রব্যাদি নিরাপদ পরিবহন, হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে একটি ছাতার নিচে কাজ করার আহ্বান জানান।
 
বৈঠকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক নিলামের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬৩ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক দ্রব্যাদি রয়েছে। এছাড়া ৫৩৫ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডে সংরক্ষিত আছে। মোংলা বন্দরে এ বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ৭ দশমিক ২ কেজি বিপদজনক পণ্য খালাস করা হয়েছে। এ বন্দরে কোনো বিপদজনক পণ্য সংরক্ষিত নেই। আর বেনাপোল স্থলবন্দরে ৪২৬৯ দশমিক ৩৯ মেট্রিকটন এবং বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৭ দশমিক ৬ মেট্রিকটন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য রয়েছে।

আরও জানানো হয়, বিপদজনক মালামাল হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিদ্যমান দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য সংরক্ষণ শেড অর্থাৎ পি-শেডটি সংস্কার, ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা, শেডে প্রবেশ/বাহির সংরক্ষণ, বিপদজনক পণ্য সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়াসহ যুগোপযোগী একটি নতুন শেড নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

‘বৈঠকে বন্দরগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণে মহড়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য সংরক্ষণের জন্য পৃথক শেড নির্মাণে মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’
 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে অধিক সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি একটি ছাতার নিচে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছন। একটি ছাতার নিচে এসে সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে।
 
বৈঠকে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, পায়রা বন্দর জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রাম, মোংলা, বেনাপোল ও ঢাকা আইসিডির কাস্টমস কমিশনাররা সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।