ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম-নীতিতে আনতে শিগগিরই কমিটি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম-নীতিতে আনতে শিগগিরই কমিটি 

ঢাকা: ওভার দ্য টপ বা (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মগুলোকে একটি নিয়ম-নীতির মধ্যে আনতে খুব সহসা একটি বড় কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, মানুষকে সুষ্ঠু সুন্দর বিনোদন দিতে পারে এবং একই সঙ্গে দেশ ও সমাজ গঠন, তরুণদের মনন গঠন, দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে একটি কমিটি করে দেবো।

এই কমিটি শুধু নিয়ম-নীতির মধ্যে আনার জন্য কাজ করবে তা নয়, দেশে এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কীভাবে প্রমোট হবে, উদ্যোক্তারা আসে সে বিষয়ে তারা সাজেশন দেবে। এটিই আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্ত।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করা দেশের বেসরকারি উদ্যোগক্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। এসময় অমিতাভ রেজা ও টিকলু খান উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওভার দ্য টপ বা (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম মানুষের ব্যবহারের জন্য অনেক বেশি সুবিধাজনক। এজন্য মানুষ ধীরে ধীরে এই প্ল্যাটফর্মে অভ্যস্ত হচ্ছে। এই বাস্তবতায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ওটিটি কনটেন্ট নিয়ে অনেক পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। যা আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছিল। তখন আমরা সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছিলাম।

‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ওটিটি প্লা প্ল্যাটফর্মকে একটি নিয়ম-নীতির মধ্যে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কোনোকিছু আপলোড করার আগে একটি নিয়ম-নীতির মধ্যে করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমাদের আজকের বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে কীভাবে একটি নিয়ম-নীতির মধ্যে আনা যায়। একই সঙ্গে আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে উৎসাহিত করা যায়। ’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এখন অন্য দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এসে কাজ করছে। পাশাপাশি আমাদের দেশ থেকে রাজস্ব নিয়ে চলে যাচ্ছে। দেশে কোনো জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম না থাকায় নির্মাতারাও বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হচ্ছে। এ বাস্তবতায় আমরা চাই এখাতে আমাদের উদ্যোগক্তারা এগিয়ে আসুক। পাশাপাশি আমাদের দেশে বিশ্বমানের ওটিটি প্লা প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠুক।  

তিনি বলেন, সরকারের চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর আছে। যখন এটা গঠন করা হয়, তখন চলচিত্র বলতে বোঝাতো সিনেমা হল যুক্ত চলচ্চিত্র। এখনতো পৃথিবী সে জায়গায় নেই। এখন ওয়েবভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চলচ্চিত্র, নাটক, ওয়েব সিরিজ মুক্তি পায়। এই বাস্তবতায় আমরা চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ওটিটি প্লাটফর্ম করতে পারি কিনা তা নিয়েও আলোচনা করেছি।

‘আজ আমরা প্রাথমিকভাবে আলাপ-আলোচনা করেছি। এ নিয়ে আমরা যারা বেসরকারি উদ্যোক্তা রয়েছে যারা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করে তাদের ডেকেছি। সেখানে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কীভাবে নিয়ম-নীতির মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সহসা আমরা একটি বড় কমিটি করে দেবো। ’

বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আমাদের দেশ থেকে যেগুলো আপলোড করা হচ্ছে সেগুলো থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট পাচ্ছে। কিন্তু যেগুলো বিদেশ থেকে আপলোড করা হচ্ছে সেগুলো থেকে কোনো ভ্যাট পাচ্ছি না।  

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনগুলোর বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যখন কথা বলি তখন সরকার ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই বলি। তাই আমার কথা আওয়ামী লীগের বাইরে হয় না। আমি এ নিয়ে আগেই বলেছি বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। আমাদের দেশে কোনো মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের স্থান নেই। আর ভাস্কর্য ও মূর্তির মধ্যে পার্থক্য আছে। পৃথিবীর সব মুসলিম দেশেই ভাস্কর্য আছে। যারা ভাস্কর্য ও মূর্তির মধ্যে পার্থক্য বোঝে না তারাই এসব কথা বলে। আমি আশা করবো সেই পার্থক্যটা তারা বুঝতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।