ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে ছয় প্রস্তাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে ছয় প্রস্তাব প্রতীকী

ঢাকা: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে ছয়টি প্রস্তাব দিয়ছে অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাকক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমের করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো— ১। ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্তসহ সকল পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ২। বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণ ৩। তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ ৪। বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ ৫। ই-সিগারেটসহ সকল ভ্যাপিং এবং হিটেড তামাকপণ্যের বিক্রয় ও আমদানি নিষিদ্ধকরণ এবং ৬। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার বৃদ্ধিসহ তামাকজাত দ্রব্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ।

সেমিনারে বক্তারা জানান, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও এ বিষয়ে নেই কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন তামাক ব্যবহার হ্রাসে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, তামাক ব্যবহার হ্রাসের বর্তমান যে গতি রয়েছে তা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে যথেষ্ট নয়। পাবলিক প্লেস এবং পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান সংরক্ষণ, বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্য প্রদর্শন, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে এফসিটিসি’র আলোকে শক্তিশালী বিধি নিষেধ না থাকায় তামাক ব্যবহার হ্রাসে বর্তমান আইনটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

সেমিনারে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিডার মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন সিটিএফকে বাংলাদেশ টিমের গ্রান্টস ম্যানেজার এম এ সালাম, প্রোগ্রাম অফিসার আতাউর রহমান, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ, মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
পিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।