ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: মহামারি করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সারা দেশ শঙ্কিত। যার কারণে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের ওপর জোর দিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’  চালু হলেও বাস্তবায়নে কোনো তোড়জোড় চোখে পড়ছে না।  

এ সময়েও মানিকগঞ্জ জেলায় ভেতর দিয়ে গণপরিবহন চলাচলে নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই। রাস্তা-ঘাটসহ গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাচল করছেন মানুষজন, আর এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর এবং প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক ব্যবহারের জরিমানা ও সাজা দেওয়া কমে আসায় মানুষের মধ্যে  মাস্ক ব্যবহারের অনিহা দেখা দিয়েছে। মাস্ক ছাড়া যে কোনো সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা থাকলেও গণপরিবহনে এর কোনো বালাই নেই, যাত্রীরা মাস্ক ছাড়াই উঠছেন। এমনিতেই ওই সব গাড়ির চালকদের মুখেও নেই মাস্ক। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ থাকলেও তা মানছে না চালকরা। বাসে ওঠার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করার শর্তও মানছেন না তারা। ফলে করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় জেলায় দ্রুত মাস্ক ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছেন সুশীল সমাজ।  

আসমা নামে গণপরিবহনের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, বাড়ি থেকে মাস্ক আনতে ভুলে গিয়েছি,  আর এখন তো করোনায় মানুষ মরে না! অযথা কেন মুখ আটকিয়ে রাখবো। যারা বেশি সচেতন তাদের এ রোগে আক্রান্ত হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।  
ছবি: বাংলানিউজ
স্বপ্ন পরিবহনের সহকারি চালক রফিক মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সকালে মাস্ক নিয়ে বেড় হয়েছিলাম, কিন্তু কোথায় যেন পড়ে গেছে মনে নেই। গাড়িতে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের ছোট গাড়ি। তাই অতিরিক্ত যাত্রী না নিলে তেল গ্যাসের টাকা ওঠে না। কত দিন পর পর গাড়ি জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে স্প্রে করেন এমন প্রশ্নে তিনি হেসে বলেন, এটা আবার কি কন? গাড়িতে আবার কিসের জীবাণু।  

যাত্রীসেবা পরিবহনের চালক লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, গাড়িতে অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহারের কথা বললে, অপমানসহ মারধর করতে আসেন। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এ কথাটি আমিও শুনেছি, তবে আমরা তো গরিব মানুষ, যাত্রী না উঠলে গাড়ি চলবে না। আর গাড়ি না চললে না খেয়ে মরতে হবে। সে জন্য করোনার ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছি।  

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মাস্ক ব্যবহারের জন্য মানুষকে সচেতন করছি এবং প্রায়ই আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে সাজাও দিচ্ছেন। তবে সামনের সপ্তাহে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে র‌্যালি ও বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।