ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে ‘উত্তম কৃষি’ নীতিমালা অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে ‘উত্তম কৃষি’ নীতিমালা অনুমোদন

ঢাকা: নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চায় ‘বাংলাদেশ গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস নীতিমালা, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।
 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে বলেন, নিরাপদ খাদ্যপণ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদনের শুরু থেকে সংগ্রহ ও সংগ্রহের পরে প্রক্রিয়াকরণ- মাঠ থেকে সংগ্রহ, প্যাকেজিং, পরিবহন ইত্যাদি পর্যায়ে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
 
‘এটা আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ ও যারা আমাদের এখান থেকে (কৃষিপণ্য) কিনে তারা বারবার তাগিদ দিচ্ছে যে, তোমাদের গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস (গ্যাপ) নীতিমালা করতে হবে, না হলে তোমাদের এখান থেকে (পণ্য) নেবো না। ’
 
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের আইটেম আমরা যখন বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করি এগুলো (উত্তম কৃষি চর্চা) নিয়ে কথাবার্তা হয়। শুধু বাইরে নয়, দেশের ভেতরেও যেগুলো সাপ্লাই দেওয়া হবে সেগুলো এই নীতিমালার অধীনে মান ঠিক করে নিতে হবে, ভেরিফাই করে নিতে হবে। এজন্যই নীতিমালা করা হয়েছে।
 
নীতিমালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা, পরিবেশ সহনীয় ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ করা।
 
পৃথিবীর সব দেশেই খাদ্য সংরক্ষণে অক্সাইড ব্যবহার করা হয় জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, নির্ধারিত মাত্রায় এটা ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে যারা উৎপাদন ও সরবরাহকারী বিভিন্ন রকমের পাউডার ব্যবহার করতে হয়। স্বাস্থ্যহানি যাতে না হয় সেই মাত্রায় এটা ব্যবহার করতে হবে।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্য শৃঙ্খলের সব স্তরে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা করাও এই নীতিমালার অন্যতম উদ্দেশ্য।
 
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বীজ উৎপাদনে আমরা যাতে আরও উন্নতি করতে পারি সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। মোট বীজের চাহিদার ২৩/২৪ শতাংশ আমরা উৎপাদন করি। বাকিটা বাইরে থেকে আনতে হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, আর্সেনিক কতটুকু পর্যন্ত থাকলে আপনি গ্রহণ করতে পারবেন, এগুলো সবই এগ্রিকালচাল গুড প্র্যাকটিসের মধ্যে চলে আসবে।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এই নীতিমালা যদি পুরোপুরি বস্তবায়ন করা যায় তবে আমাদের বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে মার্কেটিং ও ভোগ পর্যন্ত মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করা যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।