ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিববর্ষে ফরিদপুরে পাকা ঘর পাচ্ছেন ১৪৭৬টি পরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২১
মুজিববর্ষে ফরিদপুরে পাকা ঘর পাচ্ছেন ১৪৭৬টি পরিবার স্বপ্ন শতনীড় আবাসন প্রকল্প

ফরিদপুর থেকে ফিরে: ‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনায় ফরিদপুরে জমির মালিকানাসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন ১৪৭৬টি পরিবার।
  
সম্প্রতি ফরিদপুরের বিভিন্ন আশ্রয়ণ ২ প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে ঘুরে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

আশ্রয়ণ ২ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই তিন সংস্থা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে সরকারের খাস জমিতে প্রায় ৬৬ হাজার ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছে। এসব ঘরের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘরগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন।  
    
দুই শতক জায়গার ওপরে নির্মিত প্রতিটা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে।  

আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীন-গৃহহীন বিধবা, অসহায়, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে এই ঘরগুলো দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকারভোগীরা যেসব এলাকায় থাকেন, তাদের নিজেদের পরিচিত সমাজের মধ্যে, নিজ এলাকাতেই রাখতে এই ঘরগুলো সরকারের পক্ষ থেকে নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।  
এরই অংশ হিসেবে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাসানচরে, সদর উপজেলার কানাইপুরসহ বিভিন্নস্থানে ১ হাজার ৪৭৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। সদরপুর উপজেলার ভাসানচরে স্বপ্ন শতনীড় নামের আবাসন প্রকল্পে আশ্রয় পাবে ১০০টি পরিবার।

‘স্বপ্ন শতনীড়’ এ ঘর পাওয়া একজন সাগর রবিদাস। তিনি মুচির কাজ করেন। রবিদাসের স্ত্রীর নাম দীপালী রবিদাস। এক ছেলে এবং এক মেয়েসহ তারা বর্তমানে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় টিনের ঘরে থাকেন। ঘর পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গরীবের ঘরে জন্ম নিছি। মানুষের জুতা ঠিক করে আমার সংসার চালাই। কোনদিন নিজের বাড়ি হবে, পাকাবাড়িতে ঘুমাতে পারবো এটা স্বপ্নেও ভাবি নাই। তার স্ত্রী দীপালি রবিদাস বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষ সব সময় অবহেলায় থাকে, কেউ আমাদের জন্য কোনদিন কিছু করেনা। তবে বর্তমান সরকার আমাদের কথা ভেবে ঘর তৈরি করে দিয়েছে। এজন্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ। তিনি যেন গরীবদের এভাবেই সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন এই দোয়া করি।  

ঘরের বরাদ্দ পাওয়া অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বললে তারা সরকারের এমন উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তারা সরকার প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।  

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে বলেন, প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরে ১৪৭৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ে আমরা এই ঘরগুলো হস্তান্তর করতে সক্ষম হবো। ইতোমধ্যে আমরা ঘরগুলোর উপকারভোগী নির্বাচন করেছি। তাদেরকে জমির মালিকানার কবুলিয়াত সম্পন্ন করা হয়েছে। উপকারভোগীদের ঘর বরাদ্দে কাগজপত্র তৈরির যাবতীয় কাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘর নির্মাণের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রতিটা ঘরে স্যানিটেশন এবং ইলেক্ট্রিসিটিসহ নাগরিক নূন্যতম সুবিধা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।