ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

একাত্তরের গণহত্যার স্থান পরিদর্শন করলেন রবার্ট ডিকসন 

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২১
একাত্তরের গণহত্যার স্থান পরিদর্শন করলেন রবার্ট ডিকসন 

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের স্ত্রী তেরেসা আলবরসহ একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জেনোসাইডের সংশ্লিষ্ট স্থান পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেছেন।  

এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক, গবেষক, লেখক, চিকিৎসক, স্থপতি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ প্রায় ২০-২৫ জন বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) তারা এসব স্থান পরিদর্শন করেন।

পাথওয়ে টু জেনোসাইডের আওতাধীন এ কর্মসূচি শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা থেকে, যেখানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এরপর পায়ে হেঁটে তারা ১৯৫ জন শহীদ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীর তালিকা সংবলিত স্মৃতি চিরন্তন, বিট্রিশ কাউন্সিল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ শিক্ষকদের সমাধিস্থল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থল, ডাকসু সংগ্রহশালা পরিদর্শন করেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা শোনেন। এরপর তারা মধুর ক্যান্টিনে কিছু সময় কাটান।

ওয়াকিং মিউজিয়াম কর্মসূচিতে অতিথিদের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

পায়ে হেঁটে একাত্তরের ঘটনাবলী অবহিত হওয়ার আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনার, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের স্ত্রী এবং বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের একটি দল সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদের কাছ থেকে অবহিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
টিআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।