ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাত ৮ টার পর গুলশান-বনানী এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিগত দু’বছর আমাদের খুব খারাপ কেটেছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা থাকবে আগামী নতুন বছরে যেন করোনা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি।

থার্টিফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে তিনি বলেন, সাধারণত আমাদের টিনএজ সন্তানরাই পটকা ও আতশবাজি ফুটিয়ে থাকে। এতে অসুস্থ ও বয়স্করা অস্বস্তি ও ভীত হয়ে পড়েন। তাই পটকা ও আতশবাজি না ফুটানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, থার্টিফার্স্ট উদযাপন সামনে রেখে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া, পরিচয় দেওয়ার মাধ্যমে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে।

গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০ টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ডিএমপি কমিশনার।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে কোনো প্রকার হুমকি নেই। এছাড়া ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
পিএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।