ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইনের বাস্তবায়ন জরুরি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
তামাক নিয়ন্ত্রণে আইনের বাস্তবায়ন জরুরি

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে, আগামীতে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণে আইনের বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

রোববার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘আইন অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন: বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের যেসব দেশে তামাকজাত দ্রব্য সস্তা, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। তামাক নিয়ন্ত্রণের নানা পদ্ধতির মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়া অন্যতম। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধনী ২০১৩) এর ধারা ১০ অনুযায়ী সব তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের উভয়পাশের মূল প্রদর্শনী তলের উপরিভাগের ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি সম্পর্কিত সচিত্র সতর্কবার্তা দিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়া হলেও বিগত ৫ বছরে আইনের সব উপধারা মেনে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দিচ্ছে না তামাক কোম্পানিগুলো। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ১০ম ধারার উদ্দেশ্য।

টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে ২০২১ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসব্যাপী দেশের ৮টি বিভাগের ২৪টি জেলার তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ) নাসির উদ্দিন শেখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের হেলাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার (বাংলাদেশ) আতাউর রহমান মাসুদ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের (টিসিআরসি) সহকারী গবেষক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের সদস্য সচিব ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।