ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হরিণের ফাঁদ দিয়ে গরু শিকার!

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
হরিণের ফাঁদ দিয়ে গরু শিকার! শিকার করা গরু

পাথরঘাটা (বরগুনা): ফাঁদ দিয়ে হরিণ শিকারের প্রচলন থাকলেও এবার সেই ফাঁদ দিয়ে গরু শিকার করে বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে। শিকার করা গরু কসাইয়ের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবা ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা এলাকায়। ফাঁদ পেতে হরিণ, শূকর ও গরু শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি।

শুক্রবার (১১ ফেরুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে গরুর খোঁজ পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন গরুর মালিক একই এলাকার আবুল হোসেন ফরাজী। এর আগে গত রোববার সকাল থেকে গরুটির খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি। অভিযুক্তরা হলেন- চরলাঠিমারা এলাকার পনু হাওলাদার (৫০) তার ছেলে ফোরকান (৩০) ও আজাদ মিয়া (২৭)।

গরুর মালিক আবুল হোসেন ফরাজী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ১৬টি গরু হরিণঘাটা এলাকার ফারুকের কাছে দেখভালের জন্য দিয়ে আসেন। সেই থেকে গরুগুলো দেখাশুনা করে আসছেন ফারুক। গত রোববার থেকে ছাই কালারের একটি গরুর খোঁজ না পেয়ে মালিক আবুল হোসেন ফরাজীকে জানান ফারুক। পরে তিনি বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নেন। পরে তার গরুটি হাসপাতাল সড়কের কসাই হারুন কাজীর বাড়িতে আছে জানতে পেরে সেখানে গিয়ে দেখে নিশ্চিত করেন। এসময় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে জানালে তিনি হারুন কাজীর জিম্মায় রেখে দেন বলে জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পনু হাওলাদারের ছেলে আজাদ হরিণ ধরার ফাঁদে গরু আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, কে বা কারা হরিণের ফাঁদ পেতেছে তা আমরা জানিনা। তবে আমাদের একটি গরু ফাঁদে আটকা পরেছে জানতে পেরে উদ্ধার করে বিক্রি করে দিয়েছি।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় গরুর মালিক আমার কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত পনুর ছেলে আজাদ এই কাজগুলে করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ওই এলাকায় এরকম আরো অভিযোগ রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।