ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতীক্ষার অবসান, অমর একুশে বইমেলা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
প্রতীক্ষার অবসান, অমর একুশে বইমেলা শুরু একুশের বইমেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

প্রস্তুতিপর্ব সম্পন্ন। শেষ হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষাও।

করোনা মহামারির মধ্যে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবার ফিরে এলো একুশের বইমেলা।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে সবার জন্য বইমেলা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেলামঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতিসচিব মো. আবুল মনসুর, স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ছোটন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

ছবি: ডি এইচ বাদল

ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে বইমেলা শুরুর রীতি। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বইমেলা শুরু হচ্ছে মাসের মাঝামাঝিতে, যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সময় বাড়তে পারে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৭ মার্চ পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা চালিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এবার ছুটির দিন ছাড়া ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলায় কঠোরভাবে মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি।

এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর মেলায় ৩৫টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। এবারও ‘শিশুচত্বর’ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশুপ্রহর' থাকবে না।

এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্বাধীনতার মর্মবাণী সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু-গ্রন্থভুক্ত হস্তলিপি বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
এইচএমএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।