ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কয়রার ট্রিপল মার্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত চায় পরিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
কয়রার ট্রিপল মার্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত চায় পরিবার কয়রার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে নিহতদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

খুলনা: খুলনার কয়রার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতদের পরিবার। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর কয়রার আব্দুল মাজেদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি ও মেয়ে হাবিবা সুলতান টুনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নিহত হাবিবুল্লাহর মেঝ ভাই মফিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামি রশিদ গাজী হাবিবুরকে সঙ্গে নিয়ে পিলার ও তক্ষক সাপের ব্যবসা করতেন, যা আমাদের জানা ছিল না। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে বলে রশিদ গাজী যাদের নাম বলেছেন, তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ আছে, এমন ব্যক্তির তিনি ফাঁসিয়েছেন। মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করছে না। মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত হাবিবুরের বড় ভাবি সোনিয়া বেগম বলেন, অবৈধ পিলার, তক্ষক সাপের ব্যবসা ও টাকাপয়সা ভাগাভাগি নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পা‌রে। হত্যাকাণ্ডের চারদিন আগে নিহত হাবিবুরের স্ত্রী তার মাকে ফোন করে বলেছিলেন, আমাদের ঘরে একটি পিন আছে, যা অনেক মূল্যবান। এর আগে আসামি রশিদ গাজী ও তার খালু শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে হাবিবুর নিজের শ্বশুরবাড়ি চট্টগামে বেড়াতে যান। সেখানে গিয়েও তারা পিনের কথা বলাবলি করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যা থেকে হাবিবুরের বাড়িতে দুজন ব্যক্তি আসেন। তারা নিহতের পরিবারের কারও পরিচিতি নন। ঘটনার দিন রাতে ওই অপরিচিত ব্যক্তিদের আনাগোনা বেশ দেখা গিয়েছিল। ২৫ অক্টোবর রাতে নিহত হাবিবুর ও তার স্ত্রীর হঠাৎ ৪৯ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। এলাকার বিভিন্ন লোক মারফত তিনি টাকাটা ধার নিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিহত হাবিবুরের মা মোছা. কোহিনুর বেগম, মেঝ ভাই‌য়ের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ও মেঝ ভাই মফিজুল ইসলামসহ এলাকাবাসী।

গত ২৬ অক্টোবর সকালে বামিয়া গ্রামের মাজেদ গাজীর বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩২) ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনির (১৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাবিবুরের মা মোছা. কোহিনুর খানম বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।