ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অবশেষে হদিস মিলল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চালের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
অবশেষে হদিস মিলল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চালের ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল: উধাও হওয়ার খবর প্রকাশের পর অবশেষে হদিস মিলেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা থেকে ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা সরকারি চালের।  

অভিযুক্ত দুই ডিলার তোপের মুখে চালের বস্তাগুলো স্টোর রুমে তুলেছেন।

 

সোমবার (১৪ মার্চ) রাতের আঁধারে যেন অলৌকিকভাবে দুই ডিলারের স্টোর রুমে চালের বস্তা এসেছে! এত দ্রুত কোথা থেকে এসব চালের বস্তা সংগ্রহ করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি অভিযুক্ত ডিলাররা।

স্থানীয়রা জানান, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে উপকারভোগীরা উপজেলার ময়থা বাজার ও ফুলকী পশ্চিমপাড়া বাজার এলাকায় চাল আনতে যান। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ আরও কয়েকজন মিলে চালের বস্তার হিসাব নেন। এসময় তারা ময়থা উত্তরপাড়া এলাকার ডিলার নাছরিন বেগমের স্টোর রুমে ১৩০ ও ফুলকী পশ্চিমপাড়া বাজার এলাকায় জাকির হোসেন পাপনের স্টোর রুমে ৮৭ বস্তা চাল কম পান। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম বিজু সেখানে গিয়ে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। চাল গায়েবের বিষয়টি নিয়ে পুরো জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তোপের মুখে পড়েন ওই দুই ডিলার ও সংশ্লিষ্টরা। একপর্যায়ে গায়েব হওয়া চালের বস্তা রাতের আঁধারেই ডিলারদের স্টোর রুমে তোলা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম বিজু বলেন, অভিযুক্ত দুই ডিলার গায়েব হওয়া চাল তাদের স্টোর রুমে তুলেছেন। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে। তবে এ চালের বস্তাগুলোতে দুই থেকে তিন কেজি করে চাল কম রয়েছে। চালের অনেক বস্তায় পুষ্টি চাল মেশানোর কোনো সিল নেই। গায়েব হওয়া বস্তাগুলোতে চাল কম থাকায় সেগুলো বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। আগে স্টোর রুমে আগে থেকে থাকা চালের বস্তা বিতরণ করা হচ্ছে। তবে ডিলারা দাবি করেছেন যে তারা এ চাল কামুটিয়া থেকে কিনে নিজ নিজ স্টোর রুমে তুলেছেন।

এসব বিষয়ে ডিলার জাকির হোসেন পাপন বলেন, চালের বস্তাগুলো আশপাশের দোকানে রাখা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে রাতে স্টোর রুমে আনা হয়েছে।

ডিলার নাছরিন বেগম বলেন, কামুটিয়া থেকে চালের বস্তাগুলো আনা হয়েছে।  
 
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কনক কান্তি দেব নাথ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে চাল গায়েব হওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। অভিযুক্ত ডিলারদের শোকজের প্রস্তুতি চলছে। প্রয়োজনে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা গায়েব হওয়া চালগুলো ফেরত এনে স্টোর রুমে তুলেছেন। তবে বেশ কিছু বস্তায় চাল ৩০ কেজির কম রয়েছে। কম থাকা বস্তাগুলোতে চাল পরিপূর্ণ করে বিতরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নতুন বস্তায় পুষ্টি চাল মেশানো আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।