ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বড় লোকের চাকর হবো, এটা স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল না: পরিকল্পনা মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
বড় লোকের চাকর হবো, এটা স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল না: পরিকল্পনা মন্ত্রী

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির জাতীয় এবং অর্থনৈতিক মুক্তি, বড় লোকের চাকর হবো, এটা স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিল না।

শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টায় রাজধানীর বিজয় নগরে জাতীয় বধির সংস্থার মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে অনুদান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী মান্নান বলেন, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির জাতীয় এবং অর্থনৈতিক মুক্তি, ন্যায় বিচার, অন্যায় কম হবে ন্যায় বেশি হবে, দারিদ্র্য কমবে। সবাই সন্মানের সহিত খেয়ে পড়ে বাঁচবে। কোনো বিশাল বড় লোকের বাসায় আমরা কাজ করবো, আমরা সবাই চাকর-বাকর হবো, পাঞ্জাবিদের বা অন্যদের, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য এটা ছিল না।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযোদ্ধারা সবাই চেয়েছিলেন এমন একটা দেশ, যেখানে দুর্বলরা সবল হবে। আয়ে এবং গায়ে যারা দুর্বল, যারা প্রতিবন্ধী তাদের সবার কল্যাণ নিশ্চিত হবে। এটাই ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য। কি প্রয়োজন ছিল মুক্তিযুদ্ধের যদি আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই-বোনেরা নিরাপদে নিশ্চিতে এ দেশে বসবাস করতে না পারে।  

তিনি আরও বলেন, যারা উচ্চবিত্ত বা অতি ধনী লোক রয়েছে, তারাতো ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারে। যারা দুর্বল মানুষ, যারা আয়ে এবং শিক্ষায় দুর্বল, তাদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান এই বাংলাদেশ।  

বাকপ্রতিবন্ধী এবং বধিরদের সাহায্য-সহযোগিতা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী মান্নান বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল মানুষের সরকার, আইনের সরকার, আইনের পথে আমরা কোনো বাধা গ্রাহ্য করবো না। আপনারা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের জন্য, যে পরিকল্পনার কথা বলেছেন, সরকার সেই কাজে সহযোগিতা করবেই। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা গ্রহণ করছি, এখানে ১০০/২০০ বা ৪০০ কোটি টাকা শেখ হাসিনার জন্য বড় কোনো বিষয়ই নয়, তবে তা যথাযথ পরিকল্পনা মাধ্যমে করতে হবে।  
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি শাহাদাত আলম হারু চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।