ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রমজানেও দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
রমজানেও দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা: সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং আসন্ন রমজারও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন উত্তর পর্বে বিরোধীদল জাতীয়পার্টির (জাপা) সদস্য ফখরুল ইমাম দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

 

এরপর এ বিষয়ে সম্পূরক প্রশ্ন করেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাপার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

এসব প্রশ্নে উত্তরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ অবৈধ মজুদের মাধ্যমে বাজারজাত করা পণ্য নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ১০ টাকা দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পাঁচ মাস সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ও মার্চ-এপ্রিল সারাদেশে গ্রামাঞ্চলে ৫০ লাখ অতি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে এখন দুই হাজার ১৩টি কেন্দ্রে ওএমএস খাদ্যশস্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ওএমএস মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পৌরসভাগুলোতে পরিচালনা করা হলেও বর্তমানে তা সম্প্রসারিত করে সব পৌরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকার এসব কার্যক্রম নেওয়ার ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং আশা করি, আসন্ন রমজানও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।  

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এক কোটি কার্ড দিয়েছি। আমরা ন্যায্যমূল্যে নয়, কম দামে নিত্যপণ্য দিচ্ছি। তেল, ছোলা, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্য আমরা বেশি দামে কিনে সেটাতে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে সরবরাহ করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস, তারপর আবার যুদ্ধ। সেই কারণেই বিশ্বে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। কোন দেশে না বেড়েছে? আপনি যান আমেরিকায়, সেখানেও ৮০ শতাংশ দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এক ডলারের তেল আজকে চার ডলার বিক্রি হচ্ছে। আমি একটা উন্নত দেশের কথা বলছি, কত মানুষ না খেয়ে আছে। দারিদ্রসীমার নিচে কত মানুষ চলে গেছে। তারপরও আমরা করোনা ভাইরাসে, আমাদের মানুষ তো দারিদ্রসীমার নিচে যায়নি। মানুষ তো অভাবের কারণে কষ্ট পায়নি। আমরা প্যাকেজ, ক্যাশ টাকা সবকিছু মানুষকে দিয়ে কৃষক বলেন, শ্রমিক বলেন, খেটে খাওয়া মানুষ প্রত্যেকের যাতে অন্তত খাবারটা পায়, তারা যাতে বাঁচতে পারে সে ব্যবস্থা কিন্তু আমরা করেছি। অন্য কোনো দিকে তাকাইনি। তারপর ভ্যাকসিন কিনে আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময় ১৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২/আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা,
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।