ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আরও টেকসই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
আরও টেকসই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

আশুলিয়া (সাভার) থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরগুলো আরও মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তৈরি করা হচ্ছে জনগণের জন্য। কাঠামো উন্নয়নসহ ডিজাইনে পরিবর্তন এনে তৃতীয় ধাপে ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর তুলনায় তৃতীয় ধাপের এসব বাড়ির কাঠামোতে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বাজেট এবং নির্মাণ খরচও।

আগামী দুই মাসের মধ্যে ঈদুল ফিতরের পর থেকে এসব বাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

বুধবার (৩০ মার্চ) সাভারের গোহাইলবাড়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে নতুন ভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন উপকারভোগীরা। ঘরগুলো নির্মাণ কাঠামো সম্পর্কে তাদের ব্যক্তিগত মতামত ছিল সন্তোষজনক।  

ঘর পাওয়া ছায়েদ আলী (৮০) বলেন, কোনোদিন ভাবিনি মাথার ওপর পাকা ঘর থাকবে। ঘর পেয়ে খুব খুশি আমরা।  
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রঙিন টিনশেডের প্রতিটি একক গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, টয়লেট এবং সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।

এদিকে আগের দুই পর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতায় মুজিববর্ষের উপহারের এসব ঘরকে অধিকতর টেকসই করতে নকশায় আনা হয়েছে পরিবর্তন। জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। নতুন একক গৃহ নির্মাণের ব্যয় বরাদ্দও বেড়েছে। প্রথম দুই ধাপের বাড়িতে বেশ কিছু ত্রুটি পেয়েছে সরকার। বর্ষার শুরুতেই কয়েকটি স্থানে ঘর ভেঙে পড়ে, কোথাও দেয়াল ফেটে যায় আর মাটি দেবে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

যেসব কারণে এ ধরনের ত্রুটি হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমস্যাগুলো সমাধান করেই তৃতীয় ধাপে বাড়িগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। কারণে প্রতিটি বাড়ির নির্মাণ খরচও আগের চেয়ে ৬৯ হাজার টাকা বেড়েছে। তৃতীয় ধাপে বাড়ি প্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, আমরা এবারে তৃতীয় পর্যায়ে যে কাজটি করছি এর মধ্যে বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে এই ঘরটিকে আরও টেকসই করা, অধিকতর টেকসই করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের এবারের ডিজাইনে যে সংযোজন হয়েছে। আমরা বলছি এই ঘরটি অতিতের চেয়ে বেশি টেকসই হবে।  

আর এই সংযোজনের ফলে বাজেট এখন দাঁড়িয়েছে, ইউনিক প্রাইস, ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা প্রতিটি ঘর। এর সাথে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ করা আছে। ট্যাক্স-ভ্যাট যোগ করলে ৩ লক্ষ  ৩০ হাজার টাকা হয় বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।