ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

টিপু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় থাকা সদস্য দামাল গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২২
টিপু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় থাকা সদস্য দামাল গ্রেফতার জাহিদুল ইসলাম টিপু

ঢাকা: মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুর হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আরফান উল্লাহ দামাল নামের এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোযেন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ।

শুক্রবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত মোহাম্মদ শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টিপু হত্যার পরিকল্পনার একটি বৈঠক হয় কমলাপুর রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে রূপালি সমাজ নামে একটি উন্নয়ন সংস্থার অফিসে। সেই গোপন বৈঠকে দামালসহ আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। দামালকে স্থানীয় এলাকার যুবলীগ নেতা বলে সবাই চিনে। দামানকে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতার দামালের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে৷ এছাড়া তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়। সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালকও। নিহত জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলিঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-১৮) দায়ের করেছেন। তবে নিহত শিক্ষার্থী প্রীতির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

মামলার এজাহারে নিহত জাহিদের স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। আমার বাবার মতিঝিল কাঁচা বাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে আছে। আমার স্বামী রেস্টুরেন্টটি দেখাশোনা করতেন। আমার স্বামী বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের ১০ বছর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন দলীয়ভাবে কোন্দল ছিল।

ঘটনার ৪-৫ দিন আগে টিপুকে অজ্ঞাতনামা কেউ মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এজাহারে ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো ওই দিনও মাইক্রোবাস নিয়ে গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্নাসহ তিনি হোটেলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। মতিঝিল এজিবি কলোনির 'সুলতান' নামে রেস্টুরেন্ট কাজ শেষে বাসার উদ্দেশ্যে আসার পথে রাত আনুমানিক সোয়া দশটার দিকে শাজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং গুলিতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।

এ সময় গুলির কারণে আমার স্বামীর গলার ডান পাশে, বুকের বাম পাশে, বুকের বাম পাশের বগলের কাছাকাছি, পেটের মধ্যে নাভির নিচে, বাম কাঁধের ওপরে, পিঠের বাম পাশের মাঝামাঝি স্থানে, পিঠের বাম পাশের কোমর বরাবর, পিঠের ডান পাশের কোমরের ওপর মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
এসজেএ/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।