চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নকল ওষুধ উৎপাদনের অভিযোগে ওয়েস্ট আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ কারখানা সিলগালা করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। জব্দ করা হয়েছে কারখানাটির মালামাল।
সোমবার (০৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় দর্শনা পৌরসভার কার্যালয়ের পাশে ওয়েস্ট ল্যাবরেটরিজ কারখানায় অভিযান চালায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
এর আগে, ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের অভিযোগে কারখানার মালিক গিয়াস উদ্দিনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ওই ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঢাকা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক নুরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, গত ১০ বছর থেকে নকল প্যান্টোনিক্স-২০ ও মোনাস-১০ ট্যাবলেট তৈরি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। পরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক গিয়াসউদ্দিন ও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। তাই ঘটনাটি তদন্তে দর্শনা পৌরসভার পাশে এই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির অন্য সদস্য হলেন- চুয়াডাঙ্গা ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক কে এম মুহসীনিন মাহবুব।
তিনি জানান, ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের অভিযোগে ওয়েস্ট আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত মেশিনারিজ জব্দ করা হয়েছে। তাদের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।
সম্প্রতি নকল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিএমপি পুলিশের লালবাগ গোয়েন্দা শাখা। পরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ওয়েস্ট ল্যাবরেটরিজ কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে প্যান্টোনিক্স-২০ ও মোনাস-১০ নকল ওষুধ তৈরি করা হতো বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক গিয়াসউদ্দিন ও এক সহযোগীকে নকল ওষুধ ও প্রস্তুতের সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়।
এসময় উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার পিস নকল প্যান্টোনিক্স-২০ ও ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-১০ ট্যাবলেট ও তৈরির সরঞ্জাম।
গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা শাখা প্রধান। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির চকবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
এনটি
