ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শামীম হত্যা: আলীর জবানবন্দি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২২
শামীম হত্যা: আলীর জবানবন্দি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মাদক স্পটের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ফতুল্লার ইসদাইরে প্রকাশ্য দিবালোকে শামীম (৩০) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সরমী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফতুল্লা থানার ইসদাইর রাবেয়া স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বের রেল লাইন সংলগ্ন রাস্তায় অভিযুক্তরা কুপিয়ে হত্যা করে শামীমকে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান মোল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি। সেখানে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

মামলায় আসামি করা হয়েছে রাজ্জাক বাহিনীর প্রধান রাজ্জাক (৪২), আলী ওরফে ডাকাত আলী (৪৫), রাজ্জাকের দুই ছেলে জসিম (২২), অসিম (১৯), ফরিদ (৪০), আলম (৩০), রায়হান (৩২), জাকির (৩৫), জামান (৪০),আল-আমিন (২৮), শান্ত (২০) ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে।

মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলী ওরফে ডাকাত আলী ও প্রধান আসামি রাজ্জাকের ছেলে অসিমকে ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি আলী ওরফে ডাকাত আলী আদালতে জবানবন্দি দেন।

নিহত শামীম মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার পাড়াগাও গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় শহীদ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

নিহত শামীম জেলা কারাগারে আটক ফতুল্লা থানার তালিকাভুক্ত দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার শহিদ হোসেন ওরফে ডাকাত শহিদের জামাতা। শামীম স্ত্রীসহ দু’বছর আগে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন। এছাড়া ২০২১ সালে ইসদাইরে সংঘটিত রুবেল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

জানা গেছে,  বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক নিয়ে বিরোধে একটি ভাঙ্গারির দোকানের ভেতর শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করে মাদক ব্যবসায়ী রাজ্জাক বাহিনীর সদস্যরা।  
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ জুন চাষাঢ়ায় রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতে মাদকের স্পট নিয়ে বিরোধে রাজমিস্ত্রী রুবেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। চাষাঢ়ায় রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতে মাদকের একটি স্পট পরিচালনা করতেন মানিক ও শামীম গ্রুপ। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই স্পট নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই স্পটটি নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েই শামীমের সঙ্গে রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, শামীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অসিম ও আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২২
এমআরপি/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।