ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভিজিডি উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে ১ লাখ ১০ হাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
ভিজিডি উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে ১ লাখ ১০ হাজার

ঢাকা: বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার বৃদ্ধি করে ১১ লাখ ৫০ হাজার করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

একই সঙ্গে ভিজিডি নাম পরিবর্তন করে ২০২৩ সাল থেকে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউবিপি) নামে রূপান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

রোববার (২৪ এপ্রিল) ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভিজিডি কর্মসূচির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মত নাজমানারা খানুম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ডা. আ এ মো. মহিউদ্দীন ওসমানী।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। বর্তমানে দেশে ভিজিডি উপকারভোগী নারীর সংখ্যা দশ লাখ চল্লিশ হাজার। গ্রামীণ এলাকায় দুস্থ নারীদের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা এক লাখ দশ হাজার বৃদ্ধি করে ২০২৩ - ২০২৪ মেয়াদে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ ৫০ হাজার। গত ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপকারভোগী বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) নির্দেশনা মোতাবেক পরিবর্তন হচ্ছে ভিজিডি এর নাম। ২০২৩ সাল থেকে ভিজিডি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রাম (ভিডব্লিইউবিপি) নামে রূপান্তরিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদকৃত উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলা ভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিজিডি কর্মসূচি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। এ কর্মসূচি দুস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যা নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করছে।

এ সময় উপজেলা ভিত্তিক দারিদ্র্য এলাকা সঠিকভাবে বিবেচনা করে স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন করার নির্দেশ দেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। সভায় পুষ্টি চাল বিতরণ, উপকারীভোগীদের সঞ্চয় ও এনজিওর সার্ভিস চার্জ বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সূচির প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।