ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান থাকবেন গাফফার চৌধুরী: রাষ্ট্রপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান থাকবেন গাফফার চৌধুরী: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন অগ্রপথিককে হারালো।

তার একুশের অমর সেই গান বাঙালি জাতিকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তির আন্দোলনে অসীম সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছিল।

আবদুল হামিদ বলেন,  তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্ট। লেখনির মাধ্যমে তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আবদুল গাফফার চৌধুরী তার কালজয়ী গান ও লেখনির মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি কালজয়ী গানের স্রষ্টা গাফফার চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান।

বার্ধক্যজনিত কারণে বুধবার (১৮ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের স্থানীয় সময় রাতে একটি হাসপাতালে মারা যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। সাংবাদিকতা ও কলাম লেখার পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও ও সাহিত্যিক ছিলেন। ইউনেস্কো পুরস্কার ও একুশে পদকেও তিনি ভূষিত হয়েছিলেন।

দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। এরপর দৈনিক সংবাদ, মাসিক সওগাত, দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেছিলেন এ বরেণ্য। তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ পত্রিকা বের করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করলেও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে তার কলম সোচ্চার ছিল। মৃত্যুর সময় আবদুল গাফফার চৌধুরীর বয়স ছিল ৮৬ বছর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ১৯ মে, ২০২২
এমইউএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।