কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র দু‘পক্ষের দ্বন্দের জেরে তোফাজ্জেল হোসেন বিশ্বাস (৫০) নামে এক কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে হাতের কবজি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার মামলায় ৭জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২।
শনিবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- কুারখালি বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার সলেমানের ছেলে মোশারফ হোসেন মোশা (২৬), মোকাদ্দেস হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৭), আব্দুল খালেকের ছেলে সামাদ (২৭), আইয়ুব আলীর ছেলে মুহাইমেন হোসেন (২৭), সামেদ আলীর ছেলে হালিম (৪০), আব্দুল খালেকের ছেলে পলাশ (২৩) ও গোপাল শেখের ছেলে মুকুল (৪২)। তারা সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে পলাশ আক্রান্ত শিক্ষকের ছাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত ৩১ মে দুপুরে কুমারখালী উপজেলার বাশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রী কলেজ থেকে কুষ্টিয়া শহরে ফিরছিলেন ওই কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন। সদর উপজেলার বংশীতলা নতুন ব্রিজের উপর রাস্তার কাজে ব্যবহৃত রোলার মেশিনের পাশে ওৎ পেতে ছিল হামলাকারীরা। তারা ধারালো অস্ত্রে উপর্যুপরি আঘাতে ডান হাতের কব্জি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার পলাশের দেহ তল্লাসী করে ৩ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করার কথাও জানিয়েছে র্যাব।
হামলার শিকার কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাস কুমারখালি বাঁশগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কুমারখালি বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালাল বিশ্বাসের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বংশীতলা নতুন ব্রিজের ওপর প্রকাশ্যে কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন বিশ্বাসের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও হত্যা চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ১ জুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ০৪ জুন, ২০২২
এসএ