ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় সুভাষ চৌধুরীকে সংবর্ধনা  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় সুভাষ চৌধুরীকে সংবর্ধনা
 

সাতক্ষীরা: বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ জুন) শহরের পলাশপোলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন তাকে এ সংবর্ধনা দেয়।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক, দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরীর লেখার কৌশল অনুসরণ করে সাংবাদিকদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।

দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. আবুল কাশেম, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক মো. আবুল কালামসহ অনেকে।

সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক কেএম আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মহিদার রহমান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, কর্ম দিয়েই মানুষকে চেনা যায়। সুভাষ চৌধুরী একাধারে একজন সফল শিক্ষক। একই সঙ্গে তিনি জেলার শীর্ষস্থানীয় একজন সাংবাদিক। তিনি সাংবাদিকতার একজন দিকপাল। এ গুণী সাংবাদিকের হাত ধরে বহু সাংবাদিক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। অসুস্থ অবস্থায় এ ৭৪ বছর বয়সেও তিনি তার লেখনী থেকে সরে যাননি। বসুন্ধরা গ্রুপ তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে সম্মানিত করায় আমরা সাতক্ষীরাবাসী সম্মানিত হয়েছি।

বিশেষ অতিথি ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, আমরা যে যেটুকু কাজ করব, সেটুকুই সম্মান পাব। আর এ সম্মান পেতে হলে অবশ্যই নিজেকে ভালো কর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ভালো ভালো রিপোর্ট করে আমাদের সমাজকে সমৃদ্ধ করেছেন। আর এ কারণেই তিনি বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।

বিশেষ অতিথি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুভাষ চৌধুরী তিনি নির্ভীকভাবে সাহসিকতার সঙ্গে সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কেবলই লিখে গেছেন। তিনি পুরস্কারের জন্য লেখেননি। সামাজিক কল্যাণের জন্যই তিনি লিখেছেন। লেখার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি সম্মাননা লাভ করেছেন। এতে আমরা গর্ববোধ করি। আমরা চাই, তার সমস্ত লেখনী দিয়ে একটি প্রকাশনা হোক। এ ধরনের উদ্যোগ নতুন সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রেরণা হয়ে দাঁড়াবে। তিনি সাতক্ষীরার প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাতক্ষীরার ইসলামপুরের লাঠিয়াল বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা লিখে কারাভোগ করেছিলেন।

বিশেষ অতিথি আবুল কাশেম বলেন, আমি গভীর রাতেও তার কাছে টেলিফোন করে কোনো বিষয়ে তথ্য সহায়তা নিতে চাইলে তিনি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আমাকে সরবরাহ করেছেন। আমি তার কোনো লেখায় কোনো ধরনের বিচ্যুতি কখনও লক্ষ্য করিনি।

সভার সভাপতি দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম বলেন, আমি এমন কোনো সময় দেখিনি, যখন তিনি নিউজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। দুর্যোগে, দুর্বিপাকে তিনি কারো ওপর নির্ভর না করে নিজেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন। তার রিপোর্টের গুণের সীমা নেই।  

অনুষ্ঠানে সংবর্ধনার জবাবে সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড আমি নই, এটা সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের প্রাপ্য। আমাকে যদি সাতক্ষীরার বন্ধু সাংবাদিকরা সহযোগিতা না করতেন, তাহলে আমি এ অ্যাওয়ার্ড পেতাম না। এ অ্যাওয়ার্ডে যেটুকু সম্মান, সবটুকুই আমি তাদের দিয়ে দিলাম। একই সঙ্গে জেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে ডা. মহিদার রহমান ও প্রভাষক কেএম আনিসুর রহমান আমাকে যে সম্মাননা দিলেন, এজন্য আমি তাদের কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ থাকলাম। আমি সাংবাদিকদের লেখনীর কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। তাদের আরও ভালো ভালো রিপোর্ট তৈরি করে আমার থেকেও বড় অ্যাওয়ার্ড আনার চেষ্টা করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।