ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কথিত আরসা সন্ত্রাসীরাই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারী

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
কথিত আরসা সন্ত্রাসীরাই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারী রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ

কক্সবাজার: প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায় কথিত আরসা সন্ত্রাসীসহ কিছু দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

রাষ্ট্রপক্ষের এ কৌসুলির ভাষ্য, রোহিঙ্গাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মুহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছিল তার সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ)। যে কারণে বিরোধী পক্ষের হত্যার শিকার হন তিনি।

পিপি ফরিদুল বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় সাড়ে আটমাস পর কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগঠন এআরএসপিএইচ’র চেয়ারম্যান মুহিবউল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগ-পত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। এতে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। সোমবার (১৩ জুন) সকালে উখিয়া জ্যেষ্ঠ হাকিম আখতার জাবেদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার পরিদর্শক গাজী সালাহউদ্দিন অভিযোগ-পত্রটি আদালতে জমা দেন।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে এআরএসপিএইচ’র কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবউল্লাহ। দেশ-বিদেশে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে সরব থাকা এ নেতা পরিচিত ছিলেন মাষ্টার মুহিবুল্লাহ নামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময় মুহিবুল্লাহর পরিবার দাবি করেছিল, এ হত্যাকাণ্ডে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) জড়িত রয়েছে।

তদন্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জন বিভিন্নভাবে জড়িত ছিল। এর মধ্যে ৭ আসামির পরিচয় ও ঠিকানা চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। যে ২৯ জনের মধ্যে অভিযোগ-পত্র জমা দেওয়া হয়েছে; তাদের মধ্যে ১৫ জন কারাগারে এবং ১৪ জন পলাতক আছেন। এ ঘটনায় ১৫ আসামির মধ্যে চারজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান গাজী সালাহউদ্দিন।

কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, অভিযোগ-পত্রটি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে গ্রহণ করার পর জেলা জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করবে। তারপর বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।

মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের উখিয়া ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। পরে গত ৩১ মার্চ সন্তান-সন্ততিসহ মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন কানাডা চলে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
এসবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ