ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পলাশে মাদরাসার অধ্যক্ষকে পেটালেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
পলাশে মাদরাসার অধ্যক্ষকে পেটালেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য

 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠানের বিরুদ্ধে।  

গত সোমবার বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের তালতলি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আ ক ম রেজাউল করিম পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ রেজাউল করিম জানান, ইছাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার পরিচালনা কমিটি নিয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস ধরে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলে আসছিল। সেই সুযোগে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রহিম পাঠান মাদরাসার রশিদ বই নিয়ে গিয়ে কোনো হিসাব দিচ্ছিলেন না। এসব নিয়ে আব্দুর রহিম পাঠানের সঙ্গে একাধিকবার মনোমালিন্য হয়।

তিনি আরও জানান, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠান বিশৃঙ্খলা করার জন্য সোমবার সকালে তার ছেলে (এই মাদ্রাসার দাখিল ১০ম শ্রেণির ছাত্র) মেহেদী পাঠানকে মাদরাসায় পাঠান। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এ দিন মাদরাসায় অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরুর প্রায় ১০ দিন আগে মাদরাসার বেতন, সেশন চার্জ ও পরীক্ষার ফিস পরিশোধ করার নোটিশ থাকার পরও মেহেদী তা পরিশোধ করেনি। পরীক্ষার দিন (সোমবার) সকালে মাদরাসায় এসে সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। এ সময় অধ্যক্ষ রেজাউল করিম তার বাবাকে ফোন দিয়ে আনার কথা বলেন।

এর কিছুক্ষণ পর পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠান মাদরাসায় এসে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকেই দুর্ব্যবহার শুরু করেন। পরে অধ্যক্ষ রেজাউল করিম এক সহকারী শিক্ষকের মোটরসাইকেল দিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য মাদরাসা থেকে বের হন। মাদরাসার বাইরে আগে থেকেই ওৎ পেতে থেকে আব্দুর রহিম পাঠান সামনে দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে রাস্তায় ফেলে অধ্যক্ষকে পেটাতে থাকেন। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আব্দুর রহিম পাঠান চলে যায়।

এ বিষয়ে আব্দুর রহিম পাঠান মারধর করার ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, পরীক্ষার দিন আমার ছেলেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করার জন্যই মোটরসাইকেল থামাতে বলেছিলাম। ওনাকে কোনো মারধর করা হয়নি।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার বলেন, অধ্যক্ষ আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠান তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এ ব্যাপারে তাকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পরবর্তী মিটিং এ জানানোর জন্য বলা হয়েছে। আর আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।