ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দাম বেড়েছে মরিচ-তেল-মুরগির, কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
দাম বেড়েছে মরিচ-তেল-মুরগির, কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে শুকনো মরিচ, ভোজ্য তেল ও মুরগির। অন্যদিকে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও রসুনের।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে সবজি মাঝারি দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০, করলা ৬০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৫০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৪০, বটবটির কেজি ‌৫০ ও ধুন্দুলের কেজি ৪০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো আছে। এ কারণে সবজির দাম কম।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে, কেজি ৪০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বাজারে রসুনের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে কেজি ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা মো. কবির বলেন, বাজারে পেঁয়াজ রসুনের আমদানি ভালো থাকায় ক্রেতাদের চাহিদাও কম। একারণেই দাম কমেছে।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।  প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।  

বাজারে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। প্রতিলিটার তেলে ৭ টাকা দাম বেড়েছে। তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকার। এক সপ্তাহ আগে ১৯৮ টাকা প্রতি লিটার তেল বিক্রি হয়েছে।

১১ নম্বর বাজারের খুচরা ও পাইকারি তেল বিক্রেতা বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. নাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করছি। প্রতি লিটার তেল বিক্রি করছি পাইকারি ২০৩ টাকা ও খুচরা ২০৫ টাকা।  

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।  গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, মুরগির দাম বেড়েছে। বর্তমানে ডিমওয়ালা লেয়ার মুরগি খামারে বেশি থাকায় অধিক দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বাজারে মুরগির দাম বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।