ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রকমারি বইমেলা বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ লেখক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
রকমারি বইমেলা বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ লেখক ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: অনলাইন বই বিপণন সংস্থা রকমারি ডট কমের উদ্যোগে দেওয়া হলো নগদ-রকমারি বইমেলা বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড। ২০২১ সালের অমর একুশে বইমেলার সময় থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত রকমারি থেকে সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের লেখকদের দেওয়া হয় এ পুরস্কার।

ফিকশন, নন ফিকশন, ধর্মীয় ও ক্যারিয়ার- এ চার শাখায় রকমারিতে সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া বইয়ের ১২ জন লেখককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া একইসঙ্গে ৩০টি ক্যাটাগরির ৩০ লেখক ও ৩০টি বইকেও সম্মাননা জানানো হয় এ অনুষ্ঠানে।

সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ফিকশন শাখায় বেস্টসেলার লেখক হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন। একই বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মালিহা তাবাসসুম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জুনায়েদ ইভান। ফিকশন শাখায় বেস্টসেলার বই হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে অ্যাকিলিসের টেন্ডন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে অন্যমনস্ক ও ইতি স্মৃতিগন্ধা। নন-ফিকশন শাখায় বেস্টসেলার লেখক হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ। একই শাখায় দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মহিউদ্দিন আহমদ। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক। নন-ফিকশন শাখায় বেস্টসেলার বই হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে পলিটিক্যাল পার্টিজ ইন ইন্ডিয়া এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে দৈনিক ইত্তেফাক ফ্রন্ট পেইজেস ও পুরনো সেই দিনের কথা।

ধর্মীয় বিভাগে এবার ভিন্ন কিছু হোক শীর্ষক গ্রন্থের জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আরিফ আজাদ। একই শাখায় দ্য প্রফেট শীর্ষক গ্রন্থের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ। আল কুরআনের কাব্যানুবাদ গ্রন্থের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মুহিব খান। ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ইংলিশে দুর্বলদের জন্য শীর্ষক বই লিখে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছেন সাইফুল ইসলাম। একই শাখায় সহজ ভাষায় ইংলিশ বইয়ের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। স্মার্ট ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং শীর্ষক গ্রন্থের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কোচ কামরুল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ আকবর আলী খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও নগদের নির্বাহী পরিচালক শাফায়েত আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের এক বইমেলায় যত বই প্রকাশ হয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সারা বছরেও তত বই প্রকাশিত হয় না। মানের বিবেচনা ছাপিয়ে এ বিপুলসংখ্যক বই প্রকাশের মাধ্যম জাতিগত সৃজনশীলতারই প্রকাশ ঘটে। হয়তো এ কারণেই পশ্চিমবঙ্গের লেখকরা বলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেই টিকে থাকবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, অনলাইনে যে বই বিক্রি করা যায় সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রকমারি। প্রকাশকদের বই বিপণনের বিষয়টিকে স্বস্তিকর অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে রকমারি।

আকবর আলী খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আবশ্যিক অংশ হলো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা। আর সেই দৃষ্টান্ত রেখে ক্রমশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে দেশের সাহিত্য ভুবন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভালো মানুষ হতে বই পড়ার বিকল্প নেই। যে বই পড়ে তার মধ্যে সংবেদনশীলতা জন্ম নেয়। আর একজন সংবেদনশীল মানুষ কখনও অসৎ হতে পারে না। কখনও অন্যায় করতে পারেন না। আর মানুষের কাছে সেই বই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে রকমারি।

আয়োজনের শেষে অনুষ্ঠিত হয় র‌্যাফেল ড্র। এতে অনুষ্ঠানে আসা দর্শক ও অতিথিদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।