ঢাকা: ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে, বাসের সিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী ও গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
পরিবহনগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব কাউন্টারেই শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। একই সঙ্গে সড়কে ব্যাপক যানজট থাকায় যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কল্যাণপুরে দেশ ট্রাভেলসের ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শেষ মুহূর্তে বাস সব কাউন্টারে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তায় যানজটের কারণে সিডিউল বিপর্যয়ও হচ্ছে। সিডিউল বিপর্যয়ে কারণে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার পথ ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লাগছে।
পল্টন এলাকা থেকে শ্যামলী বাস কাউন্টারে নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন রাজশাহীগামী জয়নাল আবেদীন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাউন্টারে ১ ঘণ্টা আগে এসেছি। বাস কাউন্টার থেকে ফোন করেছিল। পথে থাকায় ধরতে পারিনি। রাতের গাড়ি সকালে করা হয়েছে। তাই আবারও ফিরে যাচ্ছি।
আর বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল তবুও বাসের দেখা নেই বলে জানান গাইবান্ধাগামী যাত্রী মনির হোসেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেও বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে। বাস কাউন্টার থেকেও কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
চরম সিডিউল বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে কল্যাণপুরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার এ কে এম রইছুল আলম সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে যানজটের কারণে বাসের চরম সিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শুক্রবার রাতের যে বাসগুলো ছিল, সেগুলো শনিবার (৯ জুলাই) সকালে দূরপাল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী কোচগুলো এখন এলেঙ্গা থেকে যমুনা পাড়ি দিচ্ছে। দীর্ঘ যানজটের কারণে ৭ ঘণ্টার রাস্তা ২০ ঘণ্টা লাগছে। এ কারণে রাতের টিপগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে আমরা যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে ফোনে রিসিডিউল জানিয়ে দিয়েছি। দুয়েক জন হয়তো বা কাউন্টারে এসে পড়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড
