ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মাদরাসা অধ্যক্ষকে পোটানোয় কারাগারে আ. লীগ নেতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
মাদরাসা অধ্যক্ষকে পোটানোয় কারাগারে আ. লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম

খুলনা: মাদরাসার অধ্যক্ষকে মারধরের মামলায় খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম বাহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে মারধরের অভিযোগে তার নামে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শুক্রবার (২২ জুলাই) বেলা ১১টায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হাজর হয়ে জামিন আবদন করেন তিনি। তবে বিচারক আনোয়ারুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে অধ্যক্ষকে নির্যাতনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে তিনটায় খুলনা মহানগরের হরিণটানা এলাকা থেকে বাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৬।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ ডি এম দোহা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করার পর র‍্যাব সদস্যরা শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কয়রা থানায় হস্তান্তর করেন। পরে তাকে পাইকগাছা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম আলি বলেন, ভিকটিম অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমানের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনের নামে মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ১২(২২/০৭/২২)। মাদরাসার কমিটিতে নাম না দেওয়ায় অধ্যক্ষকে ইউপি চেয়ারম্যান বর্বরোচিত নির্যাতন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত সোমবার (১৮ জুলাই) অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান মাদরাসায় বসে কাজ করছিলেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউনুসুর রহমান, মো. নিয়াজ হোসেন, মাসুদুর রহমান, মিলন হোসেন, জহুরুল ইসলাম, রিয়াল, আমিরুল, অমিত মন্ডল, রফিকুল গাজী, সাদিকসহ ১৫/২০ জন তাকে জোর করে বাইরে নিয়ে আসেন। এসময় বাহারুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা আব্দুল মালেক তাকে সহযোগিতা করেন। এরপর মো. মাসুদুর রহমানকে সেখানেই ফেলে চোখ, ঘাড়, কান ও পিঠে এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করেন চেয়ারম্যান ওতার সঙ্গীরা। এতেও থামেননি তারা, পরে ওই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সেখানেও তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান তাকে মাদরাসা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা কয়রা থানায় জানালে এসআই মনিরুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর প্রথমে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২ , ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।