ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে শরীয়তপুর

সরু সড়কে তীব্র যানজটে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
সরু সড়কে তীব্র যানজটে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি

শরীয়তপুর : স্বপ্নের পদ্মা সেতুর স্বাগতিক জেলা হিসেবে সবচেয়ে সুবিধাভোগী হওয়ার কথা শরীয়তপুরবাসীর। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়ক থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরে প্রবেশের রাস্তা সরু ও ভাঙা।

ফলে এ রুটের যাত্রীরা যে সুবিধা পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছেন না।

সেতু চালু হওয়ায় শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে অন্তত শতাধিক বিলাসবহুল বাস চালু করেছে বিভিন্ন পরিবহন। কিন্তু এ সড়কে এসব বাস ঠিক মতো চলাচল করতে পারে না। সড়ক চিকন হওয়ায় দুটি বিপরীত দিকের বাস একে অপরকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে ন। ফলে প্রতিনিয়তই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এ সড়কে।

যাত্রীরা জানান, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে সময় কম লাগার কথা থাকলেও বর্তমান চিত্র ভিন্ন। নিজ নিজ স্থানে পৌঁছতে কমপক্ষে তিন ৪ ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। এ সড়কে চলাচলকারী জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের যানবাহনও যানজটে পড়ছে। সড়কে সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকিও রয়েছে।

সওজ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর নাওডোবা অ্যাপ্রোচ সড়ক হতে শরীয়তপুর জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত চার লেনের সংযোগ সড়ক হওয়ার কথা। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রেমতলা থেকে ৩৪ মিটার প্রস্তের দুই লেনের সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে শরীয়তপুর সওজ। সড়কটি নির্মাণ হলে জন ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। তাই পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে শরীয়তপুর জেলা শহর পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত ফোর লেনে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দিন থেকেই শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে প্রায় শতাধিক পরিবহনের বাস চলাচল শুরু করছে। সরু সড়কের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত চার লেন সড়কের কাজ ধরার দাবি জানান তিনি।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত সড়কের জমি অধিগ্রহণ এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দুই বছর বিলম্বিত হওয়ায় সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে, চার লেন সড়ক বাস্তবায়ন দীর্ঘায়িত হওয়ায় পদ্মা সেতুর সুবিধা নিশ্চিতে সেতু অ্যাপ্রোচ সড়ক নাওডোবা হতে শরীয়তপুর পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে তিনটি গুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপাতত দুই লেনের সড়ক হলেও পরবর্তীতে সেটি চার লেনে উন্নীত করা হবে। ইতোমধ্যে তিনটি প্রকল্প টেন্ডার হয়ে নির্মাণ কাজ চরছে, ২০২৪ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।

শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, পদ্মা সেতুর চালুর সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরের মানুষ সড়কের সুফল না পাওয়ায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্যথিত। প্রথম থেকে উদ্যোগ নিলে আগেই রাস্তা হয়ে যেত। আগে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পরই  শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও শরীয়তপুর-৩ আসনের নাহিম রাজ্জাককে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করি। কোভিডের মধ্যেও টেন্ডার হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি, কাজ চলমান আছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩২ ঘণ্টা, ২৩ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।