ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

হালতিবিলে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪২০০ মেট্রিক টন

মো. মামুনুর রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
হালতিবিলে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪২০০ মেট্রিক টন

নাটোর: নাটোরের হালতিবিলে এবার চার হাজার ২০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

আর নলডাঙ্গা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে নদী, বিল, প্লাবন ভুমি, বড়পিট ও পুকুরে মোট মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আট হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন। প্রতিবছর জনসংখ্যার বিপরীতে মাছের প্রয়োজন হয় দুই হাজার ৯৫৩ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত থাকে পাঁচ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন। মৎস্য বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে।

নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে নলডাঙ্গা উপজেলায় আট হাজার ৩৩৬ দশমিক এক মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্যে নদীতে ১০৫ দশমিক ০৪ মেট্রিক টন, প্লাবন ভুমিতে চার হাজার ৫০৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন, পুকুরে তিন হাজার ৬৬০ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন, বড়পিটে ৩৭ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন ও বিলে ২১ দশমিক ২৭ মেট্রিক টন। নলডাঙ্গা উপজেলায় ৬৫২ হেক্টর আয়তনের দুই হাজার ২৬৫টি ছোট-বড় পুকুর রয়েছে।

নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর জনপ্রতি ২২ দশমিক ৮৪ কেজি হিসেবে এ উপজেলায় জনসংখ্যার বিপরীতে মোট মাছের প্রয়োজন হয় দুই হাজার ৯৫৩ মেট্রিক টন আর মোট উৎপাদন হয় আট হাজার ৫৬ মেট্রিক টন। মোট উদ্বৃত্ত থাকে পাঁচ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন। এবার মাছের উৎপাদন বাড়াতে বিল-নার্সারির মাধ্যমে পৌনে দুই লাখ পরিমাণ রুই জাতীয় মাছে পোনা ছাড়া হয়েছে।

এছাড়া আটটি অভয়াশ্রমের মাধ্যমে মাছে আধার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।  

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার বারনই নদী ও হালতিবিল এলাকায় আটটি মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হবে। এছাড়া মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।