ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফের ভূমিহীন হয়ে পড়ছে এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
ফের ভূমিহীন হয়ে পড়ছে এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরের দক্ষিণাঞ্চলে আবারও শুরু হয়েছে যমুনার ভাঙন। ভাঙনের ফলে আবাসিক প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় আবারও ভূমিহীন হয়ে পড়ছে তারা।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক মাসে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাকুরতলা ও জালালপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকার অন্তত ৩৪ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ৫/৬টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।  

ভাঙনকবলিত ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, যমুনা নদীতে পানি বাড়া ও কমার সঙ্গে সঙ্গে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনে সরকারি আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ২৩৮টি ঘরের মধ্যে ৯০টি ঘর নদী গর্ভে চলে যায়। এতে আবাসনের সুবিধাভোগীরা তাদের ঘরের টিন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে কেউ কেউ ঘর হেলনা দিয়ে আছে।

এক সময়ের ভূমিহীন মানুষগুলো সরকারি আশ্রয় পেলেও বর্তমানে যমুনার ভাঙনে আবারও ভূমিহীন হয়ে পড়েছে।  
 
বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক মুহূর্তে বিলীন হয়ে যায় সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বহু স্থাপনা।

এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এ অঞ্চলে সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনরোধে সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও ধীরগতির কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের দাবি জানান এলাকাবাসী।

জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করা হোক। আর সরকারি আবাসনের রডসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী সুবিধাভোগীরাই নিয়ে যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিল্টন হোসেন জানান, গত ৪/৫ দিন ওই অঞ্চলে ভাঙন ছিল। গত দুদিনে ভাঙনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যমুনায় পানি বাড়ার কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করা যাচ্ছে না। পানি কমলেই কাজ শুরু হবে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, জালালপুর এলাকায় নদী ভাঙনে গুচ্ছ গ্রাম ও আবাসন প্রকল্পের বাড়িঘর বিলীন হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।

২০০৫-০৬ অর্থ বছরে আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছ গ্রামের ২৩৮টি ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে যমুনার ভাঙনে ২৩৮টি ঘরের মধ্যে ১৪৮টি রয়েছে। বাকি ৯০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঘরবাড়ি হারানো মানুষগুলোর মধ্যে কেউ কেউ জায়গা-জমি কিনতে পারলেও অনেকেই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।