ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বকশীগঞ্জে আবার হাতির তাণ্ডব

গোলাম রাব্বানী নাদিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
বকশীগঞ্জে আবার হাতির তাণ্ডব

জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে পুরো একমাস অবস্থান করে বন্য হাতির পাল ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার ফিরে এসেছে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে শতাধিক হাতি নিয়ে পালটি সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের সোমানাথপাড়া দিয়ে প্রবেশ করেই তাণ্ডব চালায়।

সীমানার ওপারে ভারতের বনাঞ্চলে অনেক হাতির বাস। বোরো, আমন মৌসুমসহ সময়ে-অসময়ে হাতির পাল জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাতানিপাড়া, গারোপাড়া, বালুর চর, দিঘলাকোনা ও সোমনাথপাড়া এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাখনের চর, পাথরের চর ও বাঘার চর গ্রামের সমতল বনাঞ্চল পেরিয়ে আবাসিক ও কৃষিপ্রধান এলাকায় চলে আসে। হাতি বাড়িঘর, ফসলি জমি ও বাগানের গাছপালা খেয়ে ও তছনছ করে ফিরে যায়। কিন্তু এবার তা ব্যতিক্রম।

ভারতীয় অংশে কাজু বাদাম চাষ করায় ভারতীয়রা হাতিকে ফিরে আসতে প্রতিবিন্ধকতা সৃষ্টি করছে।  

স্থানীয়রা জানান, ভারতের পাহাড়ি অংশে কাজু বাদামের চাষ করায় হাতি গুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠায় ভারতীয়রা। এতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরাও সহযোগিতা করছে বলে জানান তারা।

ভারতীয়রা হাতি তাড়ানোর ব্যবস্থা হিসেবে ঢোল, পটকা, বৈদুত্যিক জেনারেটর, আগুনের গোলা এমনকি গুলি ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ বন বিভাগ কর্তৃক কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশিরা কিছুই ব্যবহার করতে পারছে না।

এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হাতিগুলো আসার পর পরই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়ার গেটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে স্থানীয় বন বিভাগও হাতি তাড়ানোর কাজে বাধা দিচ্ছে। বন বিভাগের বাধার কারণে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। গত বছর হাতি তাড়ানোর জন্য বৈদ্যুতিক জেনারেটর, পটকা ও আগুন ব্যবহার করেছে স্থানীয়রা কিন্তু এবার সেগুলোও ব্যবহার করতে দিচ্ছে না বন বিভাগ। এমনটি অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ ব্যাপারে বালিজুরি রেঞ্জের বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করলে হাতি মারা যায়, সে কারণে বৈদুত্যিক জেনারেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আগুন বা শব্দ করে হাতি তাড়াতে কোনো বাধা নেই।

এদিকে হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। যারা হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শ্রাবস্তি রায় বাংলানিউজকে বলেন, যে এলাকায় হাতিরা অবস্থান করছে সে এলাকা থেকে মানুষদের সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।