ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পল্লী চিকিৎসক মান্নান হত্যার রহস্য জানা যায়নি এখনও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
পল্লী চিকিৎসক মান্নান হত্যার রহস্য জানা যায়নি এখনও

রাজশাহী: ছয় মাস কেটে গেছে, এখনও রহস্য উদঘাটন হয়নি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পল্লী চিকিৎসক আবদুল মান্নান (৭০) হত্যার রহস্য। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে মামলাটি থাকলেও কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না নিহতের পরিবার।

এ অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন তারা।

হত্যা মামলার অগ্রগতি, আসামিদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টা দিকে করা মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিষয়গুলো জানান মান্নানের পরিবার ও রাজশাহীর চারঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা।

মানববন্ধনের নিহত পল্লী চিকিৎসক মান্নানের ছেলে মাহিম হোসেন লিমন বলেন, চলতি বছর ২২ এপ্রিল তার বাবা তাদের ফসলি জমিতে কীটপতঙ্গ দমনের বিষ প্রয়োগ করতে যান। এ সময় কে বা কারা তার গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় চারঘাট মডেল থানায় উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে ২৩ এপ্রিল মামলা করা হয়।

কিন্তু অগ্রগতি না থাকা ও অমনোযোগী হওয়ায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তৎকালীন সময়ে চারঘাট মডেল থানা থেকে গত ৭ জুলাই পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। কিন্তু পিবিআই সেই মামলাটি পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরজমিনে মাত্র দুই থেকে তিনবার ঘটনাস্থলে গেছে। ছয় মাসেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ হত্যার রহস্য খুঁজে পায়নি।

লিমন বলেন, আমরা সন্তান হিসেবে আজ অসহায়। বাবা হারিয়ে আমরা এতিম হয়েছি। বিধবা হয়েছেন আমার গর্ভধারিণী মা। বাবা হত্যার পর মা আজ মৃত্যু শয্যায়। পরিবার নিয়ে আমরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর আতঙ্কে আছি। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে- এটা যখন দেখি তখন নিজেদেরই অপরাধী মনে হয়। আর পুলিশ নাকি সব হত্যাকারীদের খুঁজে পাচ্ছে না। বলছে তারা ব্যর্থ! এই অবস্থায় পরিবারের আমরা সবাই অসহায় হয়ে পড়েছি। বর্তমানে অনলাইন ও তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসেও এ ঘটনায় হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে এতো গড়িমসি কেন সেই বিষয়টি অনেকটাই অবাক করার মতো!

এ সময় তিনি প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান। একই দাবিতে নিহতের পরিবারের সদস্য ও গ্রামের সাধারণ মানুষও বক্তব্য দেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলামকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের অপর ছেলে মাইনুল হোসেন লিপন, মেহেদী হাসান লিখন, মাহমুদুল হাসান সুমন, ৭ নম্বর শলুয়া ইউনিয়নের সদস্য মো. সাবদুল, কৃষক আব্দুল বারী, চারঘাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম, চারঘাট বিএম কলেজের প্রভাষক আশিক এলাহি বুলবুল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইউনিটের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. মখলেসুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
এসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।