খুলনা: খুলনায় উদ্ধার হওয়া দ্বিখণ্ডিত অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর পরিচয় মিলেছে। মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহত নারীর পরিচয় ও হত্যার রহস্য উৎঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সদস্যরা।
মৃত ওই নারীর নাম কবিতা রানি। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুতের বিল এলাকার কালিপদ বাছারের মেয়ে। আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ভাগা গ্রামের জাকির মোল্লা ছেলে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর কেডিএ এভিনিউয়ে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে নিহত নারীর হাতের কবজি উদ্ধার করে র্যাব।
এ সময় র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মোশতাক আহমেদ বলেন, আসামি আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ৫ নভেম্বর রাতে কবিতা শারীরিক সম্পর্কের জন্য আবু বক্কর সিদ্দিকের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আবু বক্কর কবিতাকে হত্যা করেন।
কবিতা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। আবু বক্কর সিদ্দিক কবিতাকে হত্যা করার পর তার মরদেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি কবিতার মরদেহ তিন টুকরো করেন। কিন্তু মরদেহ বাড়ি থেকে বের করতে না পারায় তিনি বিচ্ছিন্ন হাতের দুই কবজি পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর আবু বক্কর সিদ্দিককে তার তথাকথিত স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব তাকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আবু বক্করের স্ত্রী স্বপ্নার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান র্যাবের ওই অধিনায়ক।
এর আগে, রোববার (৬ নভেম্বর) আবু বক্কর সিদ্দকের কেডিএ এভিনিউর ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী স্বপ্না পলাতক ছিলেন। আবু বক্কর একটি ট্রান্সপোর্টে কাজ করেন। আর তার স্ত্রী নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। রোববার রাতে এ ঘটনায় আবু বক্কর ও স্বপ্নাসহ আরও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় বাদী মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন>> **ঘরে অজ্ঞাত নারীর দ্বিখণ্ডিত লাশ, স্বামী-স্ত্রী পলাতক!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
এমআরএম/এএটি